জমে উঠেছে ফেনীর ঈদ বাজার
জমে উঠেছে ফেনীর ঈদ বাজার। রমজানের প্রথমদিকে কেনাকাটা কম হলেও ১৫ রমজান থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। শহরের বিপণীবিতানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো রুমগুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিনে শহরের এফ রহমান এসি মার্কেট, গ্রিন টাওয়ার, ফেনী সুপার মার্কেট, শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণীবিতান, জহিরিয়া টাওয়ার, গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, ফেনী গার্ডেন সিটি, ফেনী সেন্টার, আপ্যায়ন আফরোজ টাওয়ার, জুম্মা শপিং সেন্টার, তমিজিয়া মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বেশি। এছাড়া বড় বাজারের সওদাগর পট্টি ও ফেনী নিউ মার্কেটে রয়েছে উপচেপড়া ভিড়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সববয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর মার্কেট-বিপণীবিতান। পুরুষের তুলনায় নারীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। শাড়ি-থ্রিপিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, পারফিউম, কসমেটিকস সামগ্রী, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করছেন।
শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণী বিতানের তৃতীয় তলায় রাজকন্যার ম্যানেজার সানা উল্লাহ বলেন, এখানে মহিলাদের সব ধরনের আইটেম পাওয়া যায়। গত বছরের মত বিক্রি হচ্ছে। মহিলারা আসতেছে। এখন বুটিক্সস, কাটা ও ওয়েস্টার্ন এগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। শাড়ি এখনো কম বিক্রি হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিনে বেচাকেনা বাড়বে।

দ্বিতীয় তলার ইউনিক ফ্যাশনের বিক্রেতা ফয়সাল ও নুরুল আমিন বলেন, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। বিশ্রামের সময়টুকু পর্যন্ত পাই না। সকাল থেকে দুপুর ও সন্ধ্যার পর সবচেয়ে ভিড় বেশি থাকে।
বড় বাজারের সওদাগর পট্টির দুবাই ফ্যাশনের আবদুর রহিম বলেন, বিক্রি গত বছরের চেয়ে এখন কিছুটা কম। ছুটির দিনে মোটামুটি ছিল। তবে আগামী কয়েকদিনে বাড়বে আশাকরি।
গলির ফুটপাতে বিক্রেতা আনিছ উদ্দিন রিংকু বলেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাড়বে। অনেকে ওই সময়ে বেতন পাবেন। তখন ক্রেতাও বাড়বে বলে তার আশা।
আপ্যায়ন আফরোজ টাওয়ারের এস আর ফ্যাশনের খালেদা আক্তার বলেন, ছুটির দিনে বেশি ছিল। এখনো ক্রেতা আসতেছে। কিন্তু দামাদামি বেশি করে। ধীরে ধীরে বেচাকেনা বাড়ছে।
ফেনী গার্ডেন সিটির কিউট কর্নারের হিমেল পাটোয়ারী বলেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে। ক্রেতা আসতেছে। আমরাও ব্যস্ত সময় পার করছি।

এফ রহমান এসি মার্কেটের তনজিম ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জানান, রোজার শুরুতে কেনাকাটা কম হলেও এখন ধীরে ধীরে বেচাকেনা বাড়ছে। শো-রুমগুলোর কারণে বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ নিজেদের পছন্দমত কেনাকাটা করতে পারছেন।
ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বলেন, শহরে ১০ হাজারের বেশি ছোট বড় দোকান রয়েছে। নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে কেনাকাটা চলছে। এবারের ঈদে এক হাজার থেকে ১২শ কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের কেনাকাট করতে পারে এজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ফেনী শহরে পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া উপজেলা শহরে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/আরএইচ/এমএস