ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হিলিতে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে ব্যবসায়ী

উপজেলা প্রতিনিধি | হিলি (দিনাজপুর) | প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ১৯ মে ২০২৪

পাঁচ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি করেছে আরএসবি এন্টারপ্রাইজের নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) আমদানির পর সে পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে ব্যবসায়ী।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৬২-৬৪ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ পেঁয়াজ খুচরা দোকানে ৬৪-৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে মানে একটু কম পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৪ টাকায় পাইকারি কিনে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবেন না। তাই আমরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার জানান, সম্প্রতি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার ৩০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৫৫-৫৬ টাকা। এর সঙ্গে আছে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক, পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ। সব মিলিয়ে ৬২-৬৩ টাকা কেজি পড়ে গেছে।

তিনি বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি না করলে আমাদের লোকসান গুণতে হবে। তাই আমদানির ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস করে বাজারের গুদামজাত করে রেখেছি। পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আর দেশি পেঁয়াজের দাম সমান। এ কারণে আমদানির কয়েক দিনেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।

হিলি স্থলবন্দরের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ) উপ-সহকারী ইউসুফ আলী দেওয়া তথ্যমতে, স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক প্রায় ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। যারা আইপি (আমদানির অনুমতি) পেয়েছেন তারা এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।

বন্দরে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রানা বাবু বলেন, আমি বন্দর থেকে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করি। মঙ্গলবার নাসিক জাতের ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। সেগুলোর কেজি ৬৫ টাকা করে চান আমদানিকারক। ৬৫ টাকা কেজি ক্রয় করে মোকামে পাঠালে প্রায় ৭০ টাকা কেজি পড়বে। দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বেশি দামে পেঁয়াজ কিনছেন।

জানতে চাইলে হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শাহিনুর রহমান জাগো নিউকে বলেন , পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকার প্রতি টন পেঁয়াজে ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ মার্কিন ডলার। ডলারের বিনিময় মূল্য ১১০-১১৮ টাকা হিসাবে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা। এ দামের সঙ্গে যোগ হচ্ছে রফতানি শুল্ক, কাস্টমস শুল্ক, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ। এতে করে আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কম। ফলে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

মো. মাহাবুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম