লিমনের মায়ের ওপর হামলা
র্যাবের গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির রাজাপুরের আলোচিত লিমন হোসেনের মা হেনোয়ারা বেগমের হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশিরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের একটি মেহগনি গাছ কাটা নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, লিমনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন ও মা হেনোয়ারা বেগম কাউখালীর বাসা থেকে রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের বাড়িতে যান। দুপুরে লিমনের মা কুঠার দিয়ে ঘরের পাশের একটি মেহেগনি গাছ কাটার সময় প্রতিবেশি ইব্রাহিম হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই মোস্তফা হাওলাদার লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। লিমনের মায়ের হাত থেকে কুড়াল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঠি দিয়ে পেঠানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, র্যাব লিমনকে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার পর স্থানীয় সোর্সদের ভয়ে কাউখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করি। ২০১২ সালের ২০ আগস্ট ঈদের দিন লিমন আমাদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গেলে র্যাবের সোর্স ইব্রাহিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে।
ইব্রাহিম থাপ্পড় দিলে লিমনের একটি কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের হলে ইব্রাহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে ঝালকাঠির আদালত এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম ওই এলাকায় লিমন ও তার পরিবারকে আসতে নিষেধ করেন।
এ ব্যাপারে ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, লিমনদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমার জমিতে আমারই লাগানো গাছ কাটার সময় লিমনের মায়ের হাত থেকে কুড়াল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় তার সঙ্গে একটু ঝগড়া হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, লিমনের মাকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গিয়ে র্যাবের গুলিতে পা হারান কলেজছাত্র লিমন হোসেন।
আতিকুর রহমান/এআরএ/এবিএস