ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ‘খাইট্টা’ ও হোগলাপাটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ০৫ জুন ২০২৫

প্রতিবছর জিলহজ মাসের দশমদিনে মুসলিম বিশ্বে উদযাপিত হয় মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। সেই হিসেবে আর মাত্র একদিন পরেই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। আর ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারগুলোতে কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির বিক্রি বেড়েছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ‘খাইট্টা’ ও হোগলাপাটি।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এ দুটি পণ্য চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাই এসব পণ্য বিক্রি করছেন। তবে, সকাল থেকে মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরিতে বেচাকেনা জমে উঠেনি বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। আর ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি। গতবারের তুলনায় ৫০-১০০ টাকা বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কারওয়ান বাজারের পেট্রোবাংলা ও তাঁত ভবনের সামনে কয়েকজনকে এসব পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। ৫ হাত লম্বা ও ৪ হাত চওড়া হোগলাপাটির দাম ৩০০ টাকা, বড় সাইজের খাইট্টা ১০০০-১২০০ টাকা, মাঝারি সাইজের খাইট্টা ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ‘খাইট্টা’ ও হোগলাপাটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তাঁত ভবনের সামনে দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাঠ ও লাকড়ির ব্যবসা করেন সুবাস। কোরবানি ঈদের আগে কিছু খাইট্টা, হোগলা পাটি বিক্রি করেন তিনি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, দাম কম-বেশি আছে। আজকে দু-একজন ক্রেতা আসছেন, বিক্রি কম। আগামীকাল মূল বেচাকেনা হবে। বাজার ভালো হলে দাম আরও বেড়ে যাবে।

তেঁতুল গাছের এসব গুঁড়ি আসে বিভিন্ন জেলা থেকে। মৌসুমি বিক্রেতারা সামান্য লাভে এসব পণ্য বিক্রি করেন। তবে বৃষ্টির বাধায় অনেক বিক্রেতাকে বিক্রি বন্ধ রাখতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

সজীব নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টি না কমলে আমাদের বেচাকেনা হবে না। মানুষ পুরানো জিনিস দিয়ে কাজ চালাবো। রোদ উঠলে আমরা কিছু টাকা আয় করতে পারবো।

দামের বিষয়ে আরেক বিক্রেতা বলেন, বেচাকেনা শুরু হয়নি, আজকে রাত থেকে শুরু হবে। পাটির দাম অনেকেই ১০০-২০০ টাকা বলছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল বাজারে পণ্যটির সংকট আছে। এখন ৩০০ টাকা বিক্রি করছি। এটার দাম আরও বাড়তে পারে।

হোগলাপাটি কিনতে আসা এক ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, খাইট্টার দাম গতবারের তুলনায় ১০০ টাকা বেশি বলতেছে। আর পাটি দুইটা ৫০০ টাকা বললাম, তাও দিচ্ছে না। এবার দাম খুবই বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

বিজ্ঞাপন

এসএম/এমএএইচ/এমএস

বিজ্ঞাপন