ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কর্মসংস্থানের অভাব অস্থিরতা ও অভিবাসন ঝুঁকি বাড়াবে: অজয় বাঙ্গা

ইব্রাহীম হুসাইন অভি | ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে | প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে প্রায় ১২০ কোটি তরুণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর্মক্ষম বয়সে পৌঁছাবে। অথচ বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী তৈরি হবে মাত্র ৪০ কোটি চাকরি। এই বিশাল ফারাক, প্রায় ৮০ কোটি তরুণ, হয় বৈশ্বিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে। নয়তো কর্মসংস্থানের অভাবে অস্থিরতা ও অভিবাসনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ২০২৫ সালের বার্ষিক সভার এগ্রিকানেক্ট ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে এসব কথা বলেন।

ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের বাস্তবতাকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এখন বিশ্বব্যাংকের মূল লক্ষ্য। বেশিরভাগ চাকরি বেসরকারি খাত থেকে আসে, কিন্তু শুরুটা সবসময় সেখান থেকে হয় না। শুরুতে সরকারি খাত চাকরির মূল চালিকাশক্তি হয়, পরে বেসরকারি বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তাই নেতৃত্ব নেয়।

অজয় বাঙ্গা উল্লেখ করেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা রয়েছে অবকাঠামো, কৃষি, স্বাস্থ্য, পর্যটন ও মূল্যসংযোজনকারী শিল্পে। তবে কৃষি খাত শুধু চাকরি নয়, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তারও মূল ভিত্তি। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি ক্ষুদ্র কৃষক ৮০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন করে। অথচ তাদের বেশিরভাগই বিদ্যুৎ, অর্থায়ন, বাজার সংযোগ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই বাস্তবতা বদলাতে বিশ্বব্যাংক মাঠপর্যায়ে কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, বাজার সংযোগ তৈরি এবং কৃষকদের জমি বিক্রির বাধ্যবাধকতা রোধে ঋণ ও বীমা সুবিধা সম্প্রসারণে কাজ করছে।

বিশ্বব্যাংক ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করে প্রতি বছর ৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ বিলিয়ন ডলার বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অজয় বাঙ্গা বলেন, ‘আমরা ছোট কৃষকদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি করতে চাই এবং তাদের এমন একটি সংগঠিত বাজার কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই যা টেকসই কর্মসংস্থানের পথ খুলে দেবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিই এখন কৃষিখাতের মূল শক্তি হয়ে উঠছে। মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সরঞ্জাম কৃষকদের ফসলের রোগ শনাক্ত করা, সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া, আবহাওয়ার আগাম সতর্কতা প্রদান ও ডিজিটাল পেমেন্টে সহায়তা করছে। এতে তৈরি হচ্ছে একধরনের ডিজিটাল ক্রেডিট ইতিহাস, যা ঋণপ্রাপ্তি সহজ করছে এবং সুদের হার কমিয়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়াচ্ছে।

আইএইচও/এমএমএআর/এমএস