ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)/ছবি: সংগৃহীত
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ঢালাও দরপতনের সঙ্গে লেনদেন হ্রাস পেয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ অক্টোবর) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে।
আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে মূল্য সূচকেরও বড় পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার তালিকায় চলে আসে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে ঢালাও দরপতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১৪টির আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৭৫টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া সাতটি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৭১টির দাম কমেছে এবং দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে নয়টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে পাঁচটির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৯টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রধান এ শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৪০ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৪ কোটি ৫০ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ২৫ জুনের পর ডিএসইতে সবচেয়ে কম লেনদেন হলো।
লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিএসআরএম স্টিল।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রবি, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল এবং সোনালী পেপার।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৯৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৪টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় নয় কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এমএএস/একিউএফ/জেআইএম