ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

খুচরা বাজারে মাছের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীতে অলিগলির বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দাম চড়া রয়েছে। শীতের মৌসুম এলেও বাজারে ঢুকছে না দেশি মাছ। চাষের মাছ রুই, কাতল, পাবদা, পাঙ্গাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব মাছের দাম এখন চড়া।

রাজধানীর পেয়ারাবাগ ও মালিবাগ রেলগেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রজাতিভেদে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের সরবরাহ মোটামুটি কম দেখা গেছে। এদিকে, ফের বাজারে আসতে শুরু করেছে ছোট ইলিশ মাছ।

খুচরা বাজারে মাছের দাম চড়া

বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে কাতল মাছ কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ছোট ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০টাকা, রুই কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকা, বড় ট্যাংরা ৯০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, কই মাছ ২০০ টাকা, ছোট সরপুঁটি ২০০ টাকা এবং বড় সরপুঁটি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

শীতের আগাম সবজিতে স্বস্তি, ডিম-মুরগিরও দাম কমেছে
পুষ্টি ও অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান অনেক: ফরিদা আখতার
বাজারে কিছুটা স্বস্তি এনেছে শীতের সবজি, কমছে ডিমের দামও

ওয়ারলেস মগবাজারে মাছ কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হালিম। তিনি জানান, গত ১৫ দিন আগেও ছোট ট্যাংরা, টাকির দাম ২০/৩০ টাকা কম ছিল। পাঙ্গাসের দামও দেখছি বড়গুলো ২৫০ এর বেশি। মাছের দাম কখনো কমতে দেখছি না।

খুচরা বাজারে মাছের দাম চড়া

তিনি বলেন, গত এক বছর আগেও রুই ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। এখন ৩৫০ এর নিচে রুই মাছ নেই।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে মাছের চড়া দাম অব্যাহত। ফলে খুব বেশি সরবরাহ না থাকায় মাছের দাম বাড়তি। তবে রুইয়ের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল থাকলেও, অনেক দিন ধরেই এই মাছের দাম কমছে না।

রাজধানীর পেয়ারাবাগ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রুহুল সরদার জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েকমাস ধরে মাছের বাজার একই। রুই, কাতল, পাবদা, পাঙ্গাস তো ১০/২০ টাকা কম কিংবা বেশি দামে উঠানামা করে। আড়তে না কমলে খুচরা বাজারে দাম কমবে না।

খুচরা বাজারে মাছের দাম চড়া

আরেক বিক্রেতা সেলিম খান বলেন, রুইয়ের বাজারটা সিন্ডিকেটের মতো। এটা হু হু করে বাড়ছেই। এই মাছের চাহিদাও অনেক বেশি। চাষের মাছের দাম কমলেই মাছের বাজার শীতল হবে।

ক্রেতাদের দাবি, বাজারে রুই, কাতল, পাবদা ও ইলিশের দাম ক্রমশ বাড়ছেই। দেশি মাছেও হাত দেওয়া যায় না। চাষের মাছের দাম কমাতে হবে।

আরএএস/এমএস