ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। সেইসঙ্গে লেনদেনের গতিও কমেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। কিন্তু লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা পার হতেই বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। আর লেনদেনের শেষদিকে রীতিমতো ঢালাও দরপতন হয়। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৭টির। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৬৭টির দাম কমেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৫৮টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৭টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৫৭ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫১৮ কোটি ৬২ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৬৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মনোস্পুল পেপার।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ওরিয়ন ইনফিউশন, মুন্নু ফেব্রিক্স, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল এবং কে অ্যান্ড কিউ।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৪টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

এমএএস/এমএএইচ/এমএস