ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

পতনের বৃত্তেই শেয়ারবাজার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দরপতনের বৃত্তেই আটকে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (৪ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে বাজারটিতে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটি কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে ডিএসইতে বড় দরপতন হয়। তবে তৃতীয় কার্যদিবসে এসে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ফের দরপতন হয়। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।

তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার আগেই বদলে যায় বাজারের চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৭টির। এছাড়া ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৬৮টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ৬৭টির দাম কমেছে এবং ৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন
আগামী সপ্তাহ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত 
সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বাজারে বাড়তি দামের ভোজ্যতেল 

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭২টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৮টির দাম কমেছে এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১৭ নভেম্বরের পর ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, লাভেলো আইসক্রিম, খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, একমি পেস্টিসাইজ এবং ফাইন ফুডস।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।

এমএএস/কেএসআর