ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে ফের দরপতন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

দুই কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস আজ বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে পতন হয়ছে মূল্যসূচকের। তবে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ডিএসইতে দরপতন হলেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এরপর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কার্যদিবসে এসে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। এতে শেয়ারবাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখিতার স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তব হয়নি। বরং শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে।

মূলত লেনদেনের শেষ দেড় ঘণ্টায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। এছাড়া ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১২৩টির দাম কমেছে এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ৫৯টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন
আমদানি শুল্ক নয়, অর্থনীতির চালিকাশক্তি হতে হবে রপ্তানি 
বিডার অনুমতি ছাড়াই বিদেশি ঋণে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ 

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১০টির দাম কমেছে এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৯৯ পয়েন্টে নেমে গেছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হলো।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডি থাই ফুড, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, একমি পেস্টিসাইড, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু ফেব্রিক্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এমএএস/কেএসআর