ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

প্রবাসী ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রবাসী ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগ দেশের জন্যে সবচেয়ে বড় কার্যকর সাহায্য। বিনিয়োগে করলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশ উপকৃত হয়। এতে মানুষ নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। আর গত দেড় বছরে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ভূমিকা রেখেছে রেমিট্যান্স।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম, এনআরবি ফ্যামিলি সাপোর্টের চেয়ারম্যান জলিল খান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন একটি স্বতন্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী। দেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অনেক বড়।

তিনি বলেন, শুরুতে বাংলাদেশিরা কাজের জন্য যুক্তরাজ্যে যেতেন। পরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়া বাড়ে। এখনো সবচেয়ে বেশি প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন
ডিসেম্বরের ২৯ দিনে দেশে এলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় 
ডিসেম্বরে বিলিয়নের বেশি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 

তৌহিদ হোসেন বলেন, গত দেড় বছরে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ভূমিকা রেখেছে রেমিট্যান্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত শ্রমিকদের অবদান এতে সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় তরুণরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে অবৈধভাবে যাচ্ছে। তাদের এই মরিয়া হয়ে যাওয়ার কারণ হলো সুযোগের অভাব।প্রবাসীরা যদি দেশে সুযোগ সৃষ্টি করেন, সেটাই হবে তরুণদের জন্য সবচেয়ে বড় অবদান। তবে বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর স্বপ্ন না দেখে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নিতে হবে। অন্তত ভিয়েতনাম বা ভারতের মতো জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব। প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।

বক্তব্যের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন না। তিনি দেশের নেতা ছিলেন। গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি কখনো আদর্শ থেকে সরে যাননি। তার মৃত্যুতে তিনি শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

ইএইচটি/কেএসআর