অব্যাহত দরপতনে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহ জুড়ে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন, বাজার মূলধন ও সবধরনের মূল্য সূচক। হ্রাস পেয়েছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরও।
গত সপ্তাহের মোট পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই সূচক হারায় পুঁজিবাজার। ফলে আগের দুই সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও দেশের দুই পুঁজিবাজারে ছিল নেতিবাচক প্রবণতা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২৬ পয়েন্ট। এসময় বাজার মূলধন কমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮১ কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৩২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৮ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ৫০৬ টাকা বা ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮২ শতাংশ কমে অবস্থান করছে চার হাজার ৩৪৫ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬৭১ পয়েন্টে। আর শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক ২৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১২ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬৫ পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিভাগ শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর হ্রাস পেয়েছে। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩৪টির, কমেছে ২৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৫১ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে ১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে গেল সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আর সিএসইএক্স সূচক কমেছে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ।
সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩৬টির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৬০ কোটি ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৯ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৪৬ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদনে বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা।
এসআই/বিএ/পিআর