মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয় বৈঠকে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সুর চৌধুরী বলেন, ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে তারা ব্যাংকের নাম দিয়ে সমবায় অধিদফতরের একটি মামলার কাগজ দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা ব্যাংকের মত আমানত সংগ্রহ করছে এবং উচ্চ সুদ দিচ্ছে।
মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সংগৃহিত টাকা কোন খাতে ব্যয় করছে। তাদের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে কি না। এসব তথ্য জানতে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন-২০১৩ অনুযায়ী কোনো সমবায় সমিতি নামের সঙ্গে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না। শাখা অফিস খুলতেও পারবে না। কিন্তু দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বুধবারের সভায় ‘সমন্বিত সুপাভিশন’ কনসেন্ট পেপার চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে এস কে সুর বলেন, আমাদের যে সুপারভিশন সিস্টেম রয়েছে তাতে আমরা শুধু ব্যাংকিং সেক্টরের ভালো-মন্দের খোঁজখবর রাখতে পারতাম। এখন এটি বাস্তবায়ন করা হলে আমরা অর্থনীতির সবগুলো সেক্টর সম্মন্ধে জানতে পারবো।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা সম্পর্কে ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ আইনি বিষয়। এটি জাতীয় সংসদ থেকে পাশ হয়ে এসেছে। এখন বিষয়টি অর্থমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংসদেই পাশ হতে হবে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক বা বিএসইসি তথা নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের কিছু করার নেই।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে কেন এরকম আইন করা হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এসকে সুর বলেন, আসলে ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের (আইএমএফ) চাপে এ আইন করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরু থেকেই এ আইনের বিরোধিতা করে আসছিল।
ব্যাংক কোম্পানি আইনানুযায়ী ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারের মার্কেট এক্সপোজার নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার জন্য ২০১৬ সালের যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া আছে। অর্থাৎ আগামী একবছরের মধ্যেই ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি বেড়ে যাবে। যা পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বৈঠকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ঋণের সুদ কমানোর বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান ডেপুটি গভর্নর।
এসআই/এসএইচএস/আরআইপি