/- অর্থনীতি
মেঘনায় সেতু নির্মাণসহ তিন প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) ‘ভুলতা আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প নীতিগত অনুমোদনসহ মোট তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম বৈঠকে প্রস্তাবগুলোর নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ভারতের আগরতলার সাথে দ্রুত সময়ে যোগাযোগের জন্য ‘ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কের মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইনের পর পিপিপি প্রজেক্ট ২০১৮ এর ধারা অনুযায়ী পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নে অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হলে তাতে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি আমরা শুধু নীতিগত অনুমোদন দিয়েছি। এটা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে হলেও আপত্তি নেই। এই মুহূর্তে এটার বিস্তারিত কিছু নেই। সেতুটি হওয়া দরকার এজন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ-০২ (লট-১ ও লট-২) এর আওতায় ১৭টি টাগবোট সংগ্রহের লক্ষ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুকরণের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্পের কার্যপত্রে জানানো হয়, প্রকল্পের প্যাকেজ-০২ (লট-১ ও লট-২) এর আওতায় ১৭টি টাগবোট রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের কাছ থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যে ১৫ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় সিসিইএ উপস্থাপন করা হলে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংওয়ার্কসের উপযুক্ততা ও সক্ষমতা সম্পর্কে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মতামতসহ এ কমিটিতে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া নীলফামারী জেলার সাবেক জুট ট্রেডিং করপোরেশন (জেটিসি) বর্তমান বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজেসি) মেসার্স হৃদকরণ নামীয় অংগনের ০.০৯ একর সম্পত্তি ক্রেতা বরাবর রেজিস্ট্রি দলিল প্রদানের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি।
এ প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, নীলফামারীর সাবেক জুট ট্রেডিং করপোরেশন (জেটিসি) বর্তমান বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজেসি) (বিলুপ্ত) মালিকানাধীন নীলফামারী বাজার মৌজায় ০.২৩ একর, অর্থাৎ ২৩ শতাংশ জমি ১৯৮১ সালে পত্রিকায় দরপত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। পরে ০.২৩ একর জমির মধ্যে ০.১৪ একর জমির মালিকানা নিয়ে মামলা হলে উচ্চ আদালতের (আপিল বিভাগ) রায়ের প্রেক্ষিতে কাজী আব্দুর কাদের শূন্য দশমিক ১৪ একর জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়ে নেন। এতে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক অবশিষ্ট ০.০৯ একর অর্থাৎ ৯ শতাংশ জমি পূর্বনির্ধারিত দরপত্র মূল্যে এক লাখ টাকায় মেসার্স নর্দান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোপাল মহেশ্বরীর উত্তরাধিকারী হিসেবে অশোক মহেশ্বরী বরাবরে রেজিস্ট্রি প্রদানের লক্ষ্যে অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলে তাতে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ