ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

কর্মীদের বেতন ব্যাংক ও মোবাইলে দেওয়ার আহ্বান গভর্নরের

প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ০৩ মার্চ ২০১৬

ভোগান্তি কমাতে শিল্প কারখানা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন ব্যাংকের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।

গভর্নর বলেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে নগদ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে প্রদান করতে হয়। এতে প্রতিষ্ঠান ও কর্মী উভয়েই ভোগান্তিতে পরে। বাড়তি লোক নিয়োগ করতে হয়। আর যদি কর্মীদের বেতন ব্যাংকের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয় তাহলে এ ধরনের ভোগান্তি হবে না। কর্মীরাও মোবাইলে তাদের টাকা ইচ্ছে মত বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে ও খরচ করতে পারবে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভবিষ্যৎ অার্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতে প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠনের আহ্বান জানান গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সরকারের সহযোগিতায় এই ফান্ড গঠনে এফবিসিসিআইকে এগিয়ে আসতে বলেন। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা লাভবান হবে অন্যদিকে ফাইন্যান্সিংয়ে ইনক্লুশন আরো বিস্তার ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ঋণের সুদ হার কমানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের বিভিন্ন সহায়তাসহ খেলাপি ঋণ কমনোর বিষয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে রফতারি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) ঋণের সুদ পাঁচ শতাংশের দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।

এসময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে গভর্নর বলেন, রফতারি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ৯ শতাংশ সুদের মধ্যে চার শতাংশ নির্ধারিত,  এরসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালন ব্যয় হিসেবে এক শতাংশ নেয়। আর বাকি চার শতাংশ সরকার গ্রহণ করে থাকে। সরকার যদি তাদের চার শতাংশ না নেয় তাহলে পাঁচ শতাংশ সুদে তা প্রদান করা সম্ভব। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।

গভর্নর আরো বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী বান্ধব। গাভী পরিপালনে ঋণের ক্ষেত্রে এ ধরণের সুবিধা দিয়েছে। আপনারা যদি সরারকে ঠিকমত বুঝাতে পারেন আশা করছি রফতানি খাতেও এ সুবিধা প্রদান করবে। কারণ সরকারের সব সময় লাভ করার দরকার নেই।

ড. আতিউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে রফতারি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০০ মিলিয়ন ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রীণ অর্থায়ন তহবিল রয়েছে। ব্যবসায়ীদের যখন দরকার, নিয়ম মেনে এ তহবিল থেকে সল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলেও জানান গভর্নর।

বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, নির্বাহী পরিচালক আখতারুজ্জামানসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/আরএস/আরআইপি

আরও পড়ুন