গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৪৬ শিক্ষকের নিন্দা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করা অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত।
আমরা মনে করি, এ হামলা শুধু একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাক-স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। এমন ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও বলা হয়, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সময় নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারাদেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের গোপালগঞ্জে জড়ো করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগগুলো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পাশাপাশি দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে বোমা হামলাসহ নানান অস্ত্রশস্ত্র বহনকারীদের প্রতি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা লক্ষণীয়। এতে প্রতীয়মান হয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দোর্দণ্ডপ্রতাপে বিরাজ করছে।
বিবৃতিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও পেশাদার আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সমন্বয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে ঢেলে সাজানো এবং সংস্কার সাধন করার কথাও বলা হয়। কিন্তু এসব কাজে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করেন শিক্ষকরা।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষকরা হলেন—
১) অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২) অধ্যাপক ড. মুহিব্বুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩) অধ্যাপক অন্তর্বর্তী লুৎফুল অন্তর্বর্তী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪) অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫) অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬) অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৭) অধ্যাপক ড. মো. শামসুজোহা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৮) অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মোকতাদিউল বারী চৌধুরী, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯) অধ্যাপক ড. মো. সোহাইবুর রহমান, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০) মো. কবীর উদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
১১) ড. এএফজি মাসুদ রেজা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
১২) শেখ মো. রোকনুল ইসলাম, ডুয়েট
১৩) অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪) সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫) মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৬) মোহাম্মদ ফয়সাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৭) অধ্যাপক ড. মো. মমতাজুর রহমান, আইইউবিএটি
১৮) ড. মো. মনজুর হোসেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
১৯) শাহ্ মো. তানভীর সিদ্দিকী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২০) ড. মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২১) ড. মো. শামিম মন্ডল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
২২) মো. আলমগীর কবীর রাজ্জাকী, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ
২৩) কাউছার আহমেদ, গণবিশ্ববিদ্যালয়।
২৪) রাশেদ মাহমুদ, পিএইচডি গবেষক, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি
২৫) মো. লিমন হোসেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়
২৬) মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২৭) মাহবুব আলম, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
২৮) মো. সোহেল রানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২৯) ড. শামীম হামিদী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৩০) হাসান মাহমুদ সাকি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৩১) আব্দুল বশির, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
৩২) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৩৩) মহিবুল ইসলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৩৪) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহহিল বাকী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫) অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার, নিপসম
৩৬) মো. জামিউল ইসলাম, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৩৭) মো. জিল্লাল হোসাইন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৮) ড. ইকবাল সরোয়ার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৯) ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪০) মো: ইউসুফ আলী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৪১) দিদার মুহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
৪২) মোহাম্মদ সোহাইব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩) অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৪৪) মিসবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫) আসাদুজ্জামান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৪৬) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
এনএস/এমএএইচ/জেআইএম
বিজ্ঞাপন