প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞানের প্রার্থীদের জন্য ‘সুখবর’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে বিজ্ঞানের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা প্রার্থীদের জন্য নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে বিজ্ঞানের প্রার্থীদের শতভাগ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পথ খুলেছে।
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এ সংশোধন করায় বিজ্ঞপ্তিতে থাকা সব শূন্যপদে এখন বিজ্ঞানের প্রার্থীরা চাকরির সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি বিজ্ঞানের প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত (কোটা) থাকবে। অর্থাৎ ১০০টি পদের মধ্যে ২০টি বিজ্ঞানের প্রার্থীদের বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৮০টি পদেও বিজ্ঞানের প্রার্থীরা অন্য বিভাগের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
রোববার (২ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মূলত ২৮ আগস্ট জারি করা বিধিমালায় কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের তথ্যমতে, বিধি ৭-এর উপবিধি (২)-এর দফা (খ)-তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য’ বিষয়ে শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট প্রথম প্রকাশিত বিধিমালায় বিধি ৭-এর উপবিধি (২)-এর দফা (খ)-তে বলা হয়েছিল, ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩% পদ মেধাভিত্তিক প্রার্থীগণের দ্বারা, তন্মধ্যে ২০% পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা এবং ৮০% পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে।’
সংশোধনের পর বিধিমালা বিধি ৭-এর উপবিধি (২)-এর দফা (খ)-তে হবে ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩% পদ মেধাভিত্তিক প্রার্থীগণের দ্বারা, তন্মধ্যে ২০% পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা এবং ৮০% পদ ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে।’
বিধিমালায় সংশোধন আনার মাধ্যমে বিজ্ঞানের প্রার্থীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হলো কি না, এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা এস এম মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিকে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় না। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা ক্রমেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সাধারণত গণিত, বিজ্ঞানবিষয়ক চিন্তাধারা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতায় কিছুটা এগিয়ে থাকে, যা শিশুদের প্রাথমিক স্তর থেকেই সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সহায়তা করতে পারে। আর বাকি বিষয়গুলো তো সবাই পড়াতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগ কোনোভাবেই অন্য বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য তৈরি করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করা।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা
- ২ আন্দোলন করা অসংখ্য প্রাথমিক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি
- ৩ পরীক্ষা না নেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের মাথা ফাটালেন অভিভাবকরা
- ৪ অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন শর্ত, তৃতীয় বিভাগ থাকলেই অযোগ্য
- ৫ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ফেয়ার, অংশ নিলো ৬০ প্রতিষ্ঠান