রাষ্ট্রীয় শোকের মধ্যে বছরের প্রথমদিনে হবে বই বিতরণ
এ বছর কোনো উৎসব হবে না, নিজ নিজ বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বই নিতে পারবে/ ফাইল ছবি
আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। এদিন প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম-দশম পর্যন্ত সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। এ বছর কোনো উৎসব করা হবে না। নিজ নিজ বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বই নিতে পারবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামীকাল বুধবার থেকে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর ও ১, ২ জানুয়ারি) তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলাকালে বই বিতরণ করা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকে। এ নিয়ে অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানতে আগ্রহী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, এবার উৎসব হবে না। এটা আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধুমাত্র স্ব স্ব স্কুলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করবেন। ১ জানুয়ারি সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বই বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার সাধারণ ছুটি, ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
রাষ্ট্রীয় শোকের দিনেও হবে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় শোকের কারণে বই বিতরণে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বুধবার সাধারণ ছুটি। ওইদিন যেসব পরীক্ষা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় শোক থাকলেও সব কার্যক্রম চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে। ফলে বই বিতরণে কোনো বাধা নেই। তারপরও যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
একই কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের সব পাঠ্যবই আগেই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেছে। ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থী শতভাগ বই হাতে পাবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানিয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ কপি। শতভাগ বই ছাপা, বাঁধাই, কাটিংয়ের কাজ শেষে বিতরণে জন্য উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিক, দাখিল, দাখিল (ভোকেশনাল) ও কারিগরি স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের কাজ চলমান। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবমের মোট ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৬৯৩ কপি বইয়ের ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ছাপা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ৫৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে এখনো প্রায় অর্ধেক বই সরবরাহ বাকি রয়েছে। এতে বছরের শুরুর দিনে মাধ্যমিকের শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এএএইচ/কেএসআর