ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তৃতীয় দফা আলটিমেটাম আজ শেষ

প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৬

তিনদফা সময় দেয়ার পরও নতুন বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নামার কথা ভাবছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে। ফেডারেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে শিক্ষকদের বিষয়সহ পে-স্কেলের অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক রোববার দেড়টায় পরিকল্পনা কমিশনে ডাকা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করবেন।

মন্ত্রিসভার এ বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে সরকারের একজন সিনিয়র সচিব ফেডারেশনের সভাপতিকে টেলিফোনে পূর্বনির্ধারিত মিটিংটি হবে না বলে জানিয়েছেন। এতে শিক্ষকরা দারুণ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এ অবস্থায় বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় প্লাটফর্ম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বৈঠকে বসছে।

এ বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোববার বেতন-ভাতা বিষয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক আছে। সেখানে আমাদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে ফোনে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী এখন আমাদের সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন না। আগে তিনি সচিবদের সঙ্গে বসে জানতে চান যে, আমাদের সঙ্গে কী সমঝোতা হয়েছে। এরপর প্রয়োজন হলে তিনি আমাদের সঙ্গে বসবেন।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘রোববার বেতন-ভাতা বৈষম্য নিরসনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করবেন।’

অষ্টম পে-স্কেল ঘোষণার পর গত বছরের মে থেকে বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় পে-স্কেল অনুমোদনের পর একদফা এবং ১৫ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর আরেকদফা আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। এর মধ্যে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন ৩৭ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

পরবর্তী সময়ে দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জানুয়ারি কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। তবে ওইদিন তারা ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফার আলটিমেটাম দেয়া হয়, যা আজ শেষ হচ্ছে।

জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন