ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

১৪ বছরে ৬২৯ স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, এমপিওভুক্তি ৫০৯৭টি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৩

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে গত ১৪ বছরে সারাদেশে ৬২৯টি স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ৩৫৫টি এবং কলেজ ৩৭৪টি। একই সময়ে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৭টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রা’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বুধবার (১১ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী ২০০৯ সালে সারাদেশে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩১৮টি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৩টিতে। একইভাবে ২০০৯ সালে সরকারি কলেজ ছিল ২৮৯টি। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৩৭৪টি।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর প্রতিটি উপজেলা একটি কলেজ ও একটি স্কুল সরকারিকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। সরকার প্রধানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৩৫৫টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়।

বর্তমানে আরও ২০টি বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারি করার প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ৩২৭টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অনেক পথ এগিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ৭৫৮টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২ হাজার ৬২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২২৬টি স্কুল অ্যান্ড কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়।

এছাড়া ৩৭৯টি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ এবং ১০৫টি ডিগ্রি কলেজও সরকারি করা হয়। সবমিলিয়ে ৫ হাজার ৯৭টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে সেখানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারের রাজস্বভুক্ত করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী-শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেসরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত ৮০ হাজার ৮০৬ জন এবং কলেজে ১৭ হাজার ৪৫৮ জন। তাদের বেতন-ভাতার বড় একটি অংশ সরকার প্রতি মাসে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করে আসছে।

জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব সোলেমান খান জাগো নিউজকে বলেন, সরকার শিক্ষার উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। অবকাঠামো হচ্ছে, ডিজিটালাইজডও হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণে সব সময় শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। গত ১৪ বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, নতুন আইন, বিধিমালা তৈরি এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি। যেটা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম