জুলাই আন্দোলনের গান নিয়ে বই

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসব গান প্রেরণা জুগিয়েছে; সেসব এবার পাওয়া যাবে এক মলাটে। ‘জুলাইয়ের গান’ শিরোনামে বইটি সংকলন করেছেন সৌখিন আলোকচিত্রী মনজুর হোসেন।
কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ‘কথা ক’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন র্যাপার মোহাম্মদ সেজান। বাংলা ভাষায় গাওয়া গানটি দ্রুত তরুণদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। পরিণত হয় প্রতিবাদের প্রতীকে। এ রকম ৬৩টি গান যুক্ত করা হয়েছে বইটিতে, যেগুলো সাহস যুগিয়েছে মানুষকে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মনজুর হোসেন জানান, বইটি মূলত চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের গানের সংকলন। আগামী প্রজন্মের কাছে সময়ের দলিল হয়ে থাকবে এটি। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন গণ-আন্দোলনে সংগীতের ভূমিকা আছে। উপমহাদেশে তেভাগা আন্দোলনে যেমন হেমাঙ্গ বিশ্বাস ও সলিল চৌধুরীসহ অনেকের গান কৃষকদের উজ্জীবিত করেছে; তেমনই বঙ্গভঙ্গ, স্বদেশী আন্দোলন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও অনেকের গান প্রতিবাদী জনতাকে আন্দোলনে শক্তি, সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও অনেক প্রতিবাদী গান মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস নিয়ে সম্মুখ সমরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছে।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মনজুর বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও গানের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। স্বৈরচার শাসক যখন আন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে; তখন প্রতিরোধের আগুনে জ্বলে ওঠা ছাত্র-জনতাকে তরুণদের র্যাপ গান ভীষণভাবে আলোড়িত করে। এর বাইরে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, শিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট শায়ানের ‘আমার সূর্য️’, শূন্য ব্যান্ডের ‘শোনো মহাজন’ ছাড়াও খ্যাতিমান বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক মোহিনী চৌধুরীর ‘মুক্তির মন্দিরে সোপানতলে’ গানগুলো আন্দোলনকারীদের উজ্জীবিত করে। আন্দোলনের সেসব গান এক মলাটে রাখার চিন্তা থেকে এই বইয়ের উদ্যোগ।’
এর আগে মনজুর হোসেন জুলাই আন্দোলনের দেওয়ালচিত্র নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। সেই বই প্রকাশ উপলক্ষে ঢাকা শহরের দেওয়ালজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গ্রাফিতির মধ্য থেকে ১০ হাজারের বেশি গ্রাফিতি ফ্রেমবন্দি করেন। সেখান থেকে বাছাই করা ৪৫০টি দেওয়ালচিত্র তুলে আনেন ‘জুলাইয়ের দেওয়ালচিত্র, দেশ সংস্কারের স্লোগান’ বইতে। শিগগির প্রকাশিত হবে গানের বইটিও।
বিজ্ঞাপন
আরএমডি/এসইউ/জেআইএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন