ভিডিও EN
  1. Home/
  2. একুশে বইমেলা

বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মীমের ‘দূর্বা’

প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ক্ষুদে সাহিত্যিক মীম নোশিন নাওয়াল খানের কিশোর উপন্যাস ‘দূর্বা’। চিত্রশিল্পী চারু পিন্টুর আকর্ষণীয় প্রচ্ছদে এটি প্রকাশ করেছে বিদ্যা প্রকাশ। উপন্যাসটি বিদ্যা প্রকাশের ৩৬১,৩৬২,৩৬৩ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

দূর্বা নামের একটি মেয়ের জীবন কাহিনী তার এ উপন্যাসে উঠে এসেছে।

এ উপন্যাসের কিছু অংশ থেকে ঘুরে আসা যাক,-‘দূর্বা’। মেয়ের জন্য এই নামটাই ঠিক করলেন তুহিন সাহেব। তিনি জানতে চান না তার ছেলে হবে না মেয়ে হবে। তিনি নিশ্চিত জানেন তার একটা প্রজাপতির মতো মেয়ে হবে। দূর্বা। সে হবে ফড়িং-এর মতো উচ্ছ্বল, হাওয়ার মতো দুরন্ত, ফুলরে মতো কোমল। একটা লাল রঙের বাঁধানো ডায়েরিতে রোজ দূর্বার কাছে চিঠি লেখেন তুহিন সাহেব। দূর্বা যখন বড় হবে, এই ডায়েরিটা তাকে দেবেন তিনি।

তুহিন সাহেবের সন্তান হল। দূর্বা নয়, নাহিদ। জীবনটা অগোছালো হয়ে গেল দূর্বাকে হারিয়ে। ডায়েরিটা তালাবদ্ধ করে তুলে রাখলেন চিরদিনের মতো, সেই সঙ্গে তুলে রাখলেন জীবনের সবটুকু আনন্দ, সবটুকু হাসি।

বহু বছর পর একটা মেয়ের মধ্যে তুহিন সাহেব খুব পরিচিত কার একজনের ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন। সে তার জীবনের হাসিটুকু আবার ফিরিয়ে দিচ্ছে, তার চারপাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে মুঠোভরা আনন্দ। কে সে? তবে কি তার দূর্বা ফিরে এসেছে?

প্রান্তিকা উচ্ছ্বল মেয়ে। হাসিখুশি, প্রাণবন্ত। সে ছুটে বেড়ায় ঝড়ের মতো, খলখল করে হাসে নুপূরের ছন্দ তুলে। সে পাগল পাগল, চঞ্চল। এত হাসি, এত আনন্দের মাঝেও তার বুকের ভেতর একটা চাপা কষ্ট তুলে রাখা আছে- বাবাটা তার আমেরিকায় থাকে।

তুহিন আংকেলকে পেয়ে মনে হল, এটা আংকেল না, বাবা। নাহ! বাবা তো বাবাই। আংকেল তো আংকেলই। আংকেল কখনো বাবা হয় নাকি? হয় না। তাহলে কে এই মানুষটা?

বাবাংকলে!’ এ রকম চমৎকার কাহিনী নিয়ে ‘দূর্বা’ উপন্যাস লেখা হয়েছে।

বর্তমানে মীম ভিকারুন্নেসা নূন স্কুলের ইংলিশ ভার্সনের দশম শ্রেণির ছাত্রী । তার প্রথম বই ‘কনকচাঁপা’ ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

মীম গল্প লেখার জন্য একধিকবার মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে।

এসএইচএস/এসএইচএস/পিআর