অপমানজনক সেই নগ্ন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন জেসিকা
নগ্ন হয়ে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন জেসিকা
মার্কিন অভিনেত্রী জেসিকা অ্যালবা। বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নন্দিত তারকা হিসেবে। তিনি সম্প্রতি স্মরণ করেছেন টিম স্টোরি পরিচালিত এক বিখ্যাত সুপারহিরো ছবিতে অভিনয়ের মন্দ অভিজ্ঞতা। সে ছবিতে তিনি অপমানজনক একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন বলে জানান।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) লোহিত সাগর চলচ্চিত্র উৎসবে দীর্ঘ আলোচনায় অংশ নেন তিনি। সেখানে জেসিকা বলেন, চরিত্রের পরিচয় পুনরুদ্ধারের এক দৃশ্যে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে উপস্থিত হতে হয়েছিল তাকে। সেই দৃশ্যটি তাকে গভীরভাবে অস্বস্তিতে ফেলেছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি আমার সবচেয়ে অপছন্দের দৃশ্য ছিল। বাস্তব জীবনেও এটি খুবই অপমানজনক ছিল। আমি সংরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে উঠেছি এবং স্বভাবতই বিনয়ী মানুষ। সেই দৃশ্যটির জন্য আমি সপ্তাহখানেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সেই দিনের স্মৃতি আজও আমাকে ব্যথা দেয়।’
আরও পড়ুন
অবশেষে প্রেমের ঘোষণা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো-কেটি পেরি
সৌদি আরবের লাল গালিচায় বিশ্বতারকারা
এমন অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ওই চরিত্রে অভিনয়কে তিনি স্মরণীয় বলে জানান। তিনি বলেন, চরিত্রটি সেই সময়ে নারীদের নিয়ে তৈরি এক সিনেমায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনেছিল। ‘চরিত্রটি ছিলো দয়ালু, মাতৃত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে নিজের কথা বলতে জানা এক নারী। এমন একজন চরিত্র সব শিল্পীর জন্যই অনুপ্রেরণা’, দাবি জেসিকার।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্য এক অভিনেত্রীর অভিনীত চরিত্রটি তিনি দেখেছেন কি না এ প্রশ্নে জেসিকা বলেন, তিনি এখনো সেটা দেখতে পারেননি। তার ভাষ্য, ‘সাধারণত পরিবারের সিনেমা আমি সন্তানদের সঙ্গে দেখি। আর আমার ছেলে কোনো ছবি পছন্দ করলে সেটা বারবার দেখতে চায়। তবে সেটা দেখে নিতে আমাকে তাকে বোঝাতে হবে। আমি এই সিনেমাগুলো খুবই ভালোবাসি।’
এসময় জেসিকা অ্যালবা জানিয়ে দেন, পরিচালক রবার্তো রদরিগেজের সঙ্গে একটি নতুন ছবি তৈরির পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, ‘এটি হবে পরিবারের আবেশে তৈরি এক রোমাঞ্চকর কমেডি ছবি। এতে সম্পূর্ণ ঐতিহ্যবাহী বর্ণের অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করা হবে। আমরা বর্তমানে ছবিটির প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছি।’
এ ছাড়াও তিনি সৌদি আরবীয় পরিচিত পরিচালক হাইফা আল মানসুরের সঙ্গে একটি আবেগঘন গল্পে কাজ করছেন। এটি এক বৃদ্ধ অভিভাবক এবং কন্যার সম্পর্ক নিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প।
অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি এখন প্রযোজক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন এবং পর্দায় বৈচিত্র্য বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বড় হতে বড়ো গল্পে বৈচিত্র্য খুব কম দেখেছি। তাই গল্প বলার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা পরিবারের আয় নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাই বিনোদন শিল্পে তাদের প্রয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শুধু নারী প্রধান চরিত্র থাকলেই সেটা পুরুষদের জন্য নয়, এভাবে ভাবা ঠিক নয়। বরং আমাদের এমন গল্প প্রয়োজন যা সব মানুষই দেখতে চায়।’
এলআইএ