‘ইত্যাদি’র নতুন পর্বের শুটিং চুয়াডাঙ্গায়, প্রচার ২৬ ডিসেম্বর
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চার দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে দেশের শেকড়-সংলগ্ন জনপদে গিয়ে শুটিং করে আসছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠানটির আগামী পর্ব ধারণ করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ হাইস্কুল মাঠে।
এবারের পর্বে থাকছে একটি লোকগান। গানটিতে চুয়াডাঙ্গা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষ্টি-ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। গানটি লিখেছেন চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহ আলম সনি, সুর করেছেন হানিফ সংকেত নিজে। কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ও তানজিনা রুমা। চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীরা গানটিতে নৃত্য পরিবেশন করেন।
আরেকটি লোকগীতি গেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান ক্লোজআপ ওয়ান তারকা বাউলকন্যা বিউটি এবং পান্থ কানাই।
পর্বটিতে আরও থাকছে চুয়াডাঙ্গাকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ প্রতিবেদন, সামাজিক অসঙ্গতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গভিত্তিক নাটিকা এবং ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন। তবে নাতি অসুস্থ থাকায় এবার নানা-নানির কথোপকথন পর্বটি থাকছে না।

ইত্যাদির এই বিশেষ পর্বটি আগামী ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় আছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ‘ফাগুন অডিও ভিশন’।
স্থানীয়ভাবে নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনটি ‘হাজার দুয়ারি’ নামে পরিচিত। ভবনটিতে রয়েছে আড়াইশর মতো দরজা। শত বছর আগে জমিদার নফল চন্দ্র পাল চৌধুরী তার নিজস্ব জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজও ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এলাকার প্রবীণরা জানান, জমিদার নফল চন্দ্র পালের স্ত্রী রাধা রানি মানবদরদি ও বিদুষী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থেকে তিনি স্বামীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে উৎসাহ দেন। ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভবনের নিচতলায় ৪৫ ইঞ্চি এবং ওপরের অংশে ২৫ ইঞ্চি পুরুত্বের দেওয়াল চুন-সুরকিতে নির্মিত হয়েছিল। প্রতিটি ইটে খোদাই করা আছে জমিদার নফল চন্দ্র পালের নামের আদ্যক্ষর।
ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ৯ একর ১২ শতক। পূর্বদিকে রয়েছে সুশীতল ছায়াঘেরা আমবাগান এবং সামনে খেলার মাঠ। প্রথম তলায় ছিল ২৫০টি দরজা এবং ওপরের তিন তলা মিলিয়ে মোট ৭৫০ দরজার পরিকল্পনা থাকায় এর নামকরণ করা হয় ‘হাজার দুয়ারি’। তবে প্রথম তলা নির্মিত হলেও পরবর্তী চারতলা আর নির্মিত হয়নি।
ইত্যাদির শুটিং দেখতে আসা জিসান আহমেদ ও আলম আশরাফ বলেন, ‘এবারের ইত্যাদি আমাদের চুয়াডাঙ্গা জেলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে—এটাই আমাদের সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে। আগামী পর্বে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যেমনভাবে তুলে ধরা হবে, তা আমাদের জেলার জন্য গর্বের বিষয়।’
হুসাইন মালিক/এসআর
সর্বশেষ - বিনোদন
- ১ ৩৩ বছরে পা দিচ্ছেন রিয়া, জানালেন নতুন পরিকল্পনার কথা
- ২ বিএনপি’র মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতিবাচক মন্তব্যের জবাব দিলেন কনকচাঁপা
- ৩ মা হওয়ার ৫ মাস পর প্রকাশ্যে কিয়ারা, মুগ্ধ হলেন ভক্তরা
- ৪ ‘ইত্যাদি’র নতুন পর্বের শুটিং চুয়াডাঙ্গায়, প্রচার ২৬ ডিসেম্বর
- ৫ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের অভিযোগে বিতর্কে ধুরন্ধর