ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

লেখাপড়ার ফাঁকে জুসবার দিয়ে সাবলম্বী ফাহাদ

মামুনূর রহমান হৃদয় | প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১০ মে ২০২৩

ক্লাস শেষে গোটা একটি দিন পরে থাকে। শিক্ষার্থীরা কেউ সময় কাটায় আড্ডায় কেউ পার করে অলস সময়, কেউবা চেষ্টা করে ভালো কিছু করার। স্নাতক শেষে অন্যের অধীনে নয় স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হওয়ার। চাকরির বাজারে সবার সুযোগ হবে না ভেবেই অনেকের এই ভিন্ন চিন্তা। মোহাম্মদ আবরার ফাহাদ। নিজ উদ্যোগে তিতুমীর কলেজের সামনে দিয়েছেন জুসবার। জুসবার থেকে অর্জিত আয় পড়ালেখায় ব্যয়ের পাশাপাশি পাঠাচ্ছেন পরিবারকেও। কথা হয় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মামুনূর রহমান হৃদয়-

জুসবার দেওয়ার ভাবনা কীভাবে এলো?
পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পড়ালেখার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে চাকরি করতাম। বেশ কিছু মাস চাকরি করার পর সিদ্ধান্ত নিলাম অন্যের অধীনে আর চাকরি নয়, এবার নিজে কিছু করার পালা। সেই চিন্তা থেকে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শাকিল চত্বরে জুসবার দিয়েছি।

শুরুর দিকে পথ চলাটা কেমন ছিল?
শুরুর দিকে পথ চলাটা কিছুটা কঠিন ছিল। জুসবার দিতে আমার এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যখন রেস্টুরেন্টে জব করতাম তখন থেকেই টাকা জমানো শুরু করি। জুসবার দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও রাখি। ধীরে ধীরে ক্রেতাদের কাছে আমার তৈরি ফলের জুস জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই পথচলাটা কঠিন হলেও পরিবার-পরিজন সবাইকে কাছে পেয়েছি।

জুসবার নিয়ে কেউ বিরূপ মন্তব্য করেছে কি?
আমার জুসবার নিয়ে কেউ বিরূপ মন্তব্য করবে বলে মনে হয় না। কারণ জুসবার থেকে অর্জিত আয় পুরোটাই সৎ পথে করা। আমার কাছে সৎ পথে রোজগার অনেক বড় পাওয়া। এটা ভালো লাগা ও ভালোবাসার জায়গা। এই সৎ কাজকে কেউ হেয়ভাবে দেখবে বলে মনে হয় না।

আরও পড়ুন: উট কেন বিষধর সাপ খায়?

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
বাবা-মায়ের ওপর চাপ না বাড়িয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর উচিত কিছু করা। কেউ যদি ইচ্ছা করে আমি নিজে থেকে কিছু করব, তাহলে অবশ্যই সম্ভব। ‘আমাকে দিয়েও সম্ভব’ এমন বিশ্বাস রেখে শিক্ষার্থীদের সামনের পথ চলতে হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমি উওরা, ধানমন্ডিতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে চাকরি করেছি। সেখানেই জুস বানানো শিখেছি। পাশাপাশি ইউটিউবের সহায়তা নিয়েছি। বর্তমানে জুসবার দিয়ে ভালোই চলছে। পরিকল্পনা মতো সব চললে ভবিষ্যতে নিজের একটি রেস্টুরেন্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

লেখক: শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী

কেএসকে/জেআইএম

আরও পড়ুন