ডা. সায়েদুর রহমান
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্পেশাল টিম

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, রোগীর চাপ ও বিশ্বের পরিস্থিতি অনুযায়ী করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। অন্যদিকে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের স্পেশাল টিম কাজ করছে।
সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় গ্যাস্ট্রো লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষ্যব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, রোগ নির্ণয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান। তিনটি মাধ্যমে আমরা করোনার নমুনা পরীক্ষা করছি। চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে ডেডিকেটেড ইউনিট করেছি। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রস্তুতি রোগীর চাপ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী যথেষ্ট।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
- ৬০০ কোটি টাকার হাসপাতাল এখন জুলাই আহতদের ‘আবাসিক হোটেল’
- করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ করোনা রোগী এবং পরীক্ষার যে হার, তাতে বোঝা যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে সেই মাত্রায় লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু এখনো দেখছি না।
এডিস মশার বিস্তার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বরিশাল ও ঢাকায় বেশি। এটি দোষারোপের জন্য বলছি না। তবে স্থানীয় সরকারের মশক নিধন কার্যক্রমটা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। যার ফলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যে জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বা এডিস মশার বিস্তার বেশি, সেখানে আমাদের স্পেশাল টিম কাজ করছে। আমাদের গাইডলাইনও আপডেট করা হচ্ছে। আজকালের মধ্যে দেওয়া হবে।
ডা. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, আমরা আজ দুটি জাতীয় ইনস্টিটিউট দেখলাম। এরমধ্যে গ্যাস্ট্রো লিভারে অনেক আধুনিক ব্যবস্থাপনা আছে। রোগীদের মধ্যে সন্তুষ্টি আছে। তেমন বড় ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। ওখানে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরিকল্পনা আছে। মূলত, এজন্যই সেটা দেখার আগ্রহ ছিল। সার্জনদের সঙ্গে কথা বললাম। জনবল কেমন আছে, কতদিন লাগতে পারে, টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো- এসব বোঝার চেষ্টা করলাম। যা দেখলাম, পর্যাপ্ত জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট দেশের প্রাচীনতম। কাঠামোগত দুর্বলতা আছে। পুরনো ভবনগুলো টার্গেট করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন দরকার। এই প্রতিষ্ঠানের যে গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল সেটা পায়নি। সম্প্রসারণ প্রয়োজন। জনবলও প্রয়োজন। জনবলের বিশাল ঘাটতি আছে। চারটি বিসিএসে ছয় হাজার ৮০০ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। আশা করি, সীমাবদ্ধতার মধ্যেই এর (বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট) বাকি ফ্লোরগুলো সচল রাখার চেষ্টা করা হবে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এসইউজে/এমকেআর/এএসএম
বিজ্ঞাপন