ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সচিব সাইদুর

ভুল জায়গায় রোগী পাঠানো অমানবিক, হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যুর মুখে পড়ে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

হাসপাতালে ভুল জায়গায় রোগী পাঠানো বা অযথা ফেরত দেওয়া অনৈতিক ও অমানবিক। রেফারেল ব্যবস্থার দুর্বলতায় অনেক রোগী এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর মুখে পড়ে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নতুন ৫০০ শয্যার সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইদুর রহমান।

সচিব জানান, ভুল রেফারেল ও রোগী গ্রহণ না করার মতো উদাসীনতা মানুষের জীবনের ওপর গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি ঢাকার বড় হাসপাতালগুলোর চাপ, ভিড় ও বিশৃঙ্খলার উদাহরণ টেনে জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন অবস্থা যে করিডোর বা বারান্দায় দাঁড়ানোরও জায়গা নেই।

সাইদুর রহমান দায়িত্বশীল আচরণের প্রতি জোর দিয়ে বলেন, কোনো রোগীকে ফেরত দিলে তাকে কোথায় যেতে হবে তা অন্তত বলে দিতে হবে। একই সঙ্গে যেদিকে পাঠানো হচ্ছে, সেখানে আগে জানিয়ে দেওয়া উচিত, যাতে রোগী সঠিকভাবে গ্রহণ হয়। ভুল রেফারেলের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দাঁতের সমস্যার রোগীকে ভুল বিভাগে পাঠানো বা মাথায় আঘাত পেয়েছে অথচ অনুপযুক্ত জায়গায় রেফার করা রোগীর জীবনের ঝুঁকি বাড়ায়।

আরও পড়ুন
হাঁস-মুরগির খামারে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ প্রয়োগ, স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা
এআই ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবে বিএমইউ

নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও রোগীবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে সচিব বলেন, একই আউটসোর্সিং জনবলে অন্য হাসপাতালে যে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে না, নিউরোসায়েন্স সেখানে ব্যতিক্রম। ২০০৬ সালে অসচ্ছল পরিবেশে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশে মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সাইদুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের কাজ চিকিৎসা দেওয়া। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নন-মেডিকেল স্টাফদের। এ কাজে প্রয়োজনে প্রতিটি বড় হাসপাতালে একজন করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল বিশেষজ্ঞকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।

সচিব ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন, নিউরোসায়েন্সে বয়স্কদের জন্য আলাদা একটি সেবা এলাকা রাখলে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জরুরি চিকিৎসা পাওয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, বাস্তবতা এমন যে কোনো সময় যে কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।

এসইউজে/একিউএফ/এমএস