কলকাতার হাটে দুম্বা-খাসির আধিক্য, দামে হতাশ ব্যবসায়ীরা

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র দুদিন বাকি। তার আগে জমে উঠেছে কলকাতার পশুর হাটগুলো। তবে নাখোদা মসজিদের সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুহাটে কোনো গরু দেখা যায়নি। সেখানে কেবল দুম্বা ও খাসি বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) জাকারিয়া স্ট্রিটের এই অস্থায়ী হাটে কোরবানির পশু কেনার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আনাগোনা দেখা গেছে।
কলকাতাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে এই হাটে যেমন ছাগল ব্যবসায়ীরা এসেছেন, তেমনি অন্য রাজ্যে থেকেও বেশ কিছু ব্যবসায়ী তাদের পশু নিয়ে এসেছেন। নাখোদা মসজিদের অস্থায়ী পশুহাটের বেশিরভাগ ক্রেতারাই আসেন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থেকে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাইরে থেকে আসা পশুর প্রতিই আগ্রহ বেশি। এর মধ্যে উন্নত জাতের খাসি-দুম্বার প্রতি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বেশি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন>>
- কলকাতার কোরবানির হাটে ১৫ হাজারেও মিলছে গরু
- পশ্চিমবঙ্গ/ বাংলাদেশি পর্যটকদের পছন্দের রেস্তোরাঁ ‘আব্দুল খালেক’ বন্ধের মুখে
- পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরবন্দি তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
রাজস্থানের মেওয়ার থেকে ছাগল ও দুম্বা নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রেতা তাও সিং। তার কাছে ২০ হাজার রুপির ছাগল যেমন আছে, তেমনি ৪০ থেকে ৫০ হাজার রুপির দুম্বা এবং খাসিও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জাগো নিউজকে জানান, কলকাতার এই অস্থায়ী পশুহাটে ৭০টি পশু নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত ৩০টি বিক্রি হয়েছে। আশা করছি, ঈদের আগে সবগুলো বিক্রি হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আসা এক পশু বিক্রেতা জানান, যে আশা নিয়ে এই হাটে এসেছিলাম, সেভাবে ক্রেতা পাচ্ছি না। ক্রেতারা ঠিক করে দামও দিতে চাইছে না। যে ছাগল আমরা ২০ হাজার রুপি দিয়ে কিনেছি এবং অন্তত ২২ হাজার রুপিতে বিক্রি করবো বলে ঠিক করেছি, অথচ ক্রেতারা ১৫ থেকে ১৬ হাজারের বেশি দাম দিতে চাইছে না। গতবারের চেয়ে এবারের বাজারের অবস্থা অনেকটাই খারাপ। তবে এখনো দুদিন বাকি, দেখা যাক কী হয়।
জাকিয়া স্ট্রিটের অস্থায়ী পশুহাটে দুম্বা কিনতে আসা মোহাম্মদ শামীম বলেন, এখানে একটু সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে, তাই আসা। আমি একটু বড় আকারের খাসি খুঁজছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত তেমন বড় আকারের কোনো দুম্বা অথবা খাসি দেখিনি। এখানে একটি বড় খাসির দাম ১ লাখ ৪০ হাজার রুপি চাইছে। দেখছি কী করা যায়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ঈদ উপলক্ষে কলকাতা শহরকে নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলার কথা জানিয়েছে পুলিশ। কোরবানি নিয়ে কোথাও যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
ডিডি/কেএএ/
বিজ্ঞাপন