পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরবন্দি তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ০১ জুন ২০২৫
পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরবন্দি তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা

গত কয়েকদিনে ভুটান ও সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের সমতল। ভুটান ও সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তিস্তা। এই নদীর পাশাপাশি জলঢাকা নদীর পানির স্তরও বেড়ে গেছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর পানির স্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফলে এই নদী সংলগ্ন এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা মেখলিগঞ্জে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

তিস্তা নদীর দোমহনি এলাকায় পানির স্তর ৮৫ দশমিক ৭১ ও জলঢাকা নদীর পানির স্তর অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় এই নদীর সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত দুই এলাকাতেই হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

জলঢাকা নদীর ক্ষেত্রে ৩১ জাতীয় সড়ক এলাকায় পানির স্তর ৮০ দশমিক ০৩ এবং মেখলিগঞ্জে পানির স্তর ৬৫ দশমিক ৭৫। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৩১ মে) তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২৮৪৪ দশমিক ১২ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

তিস্তা, জলঢাকা নদীর পানির স্তর যেভাবে বাড়ছে তাতে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিস্তার পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা ডুবে গেছে। সেখানে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে বেশ কিছু পরিবার। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই পানি ঢুকেছে। আকস্মিক এই বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের দেওয়া ত্রাণই তাদের শেষ ভরসা।

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব শিগগির তাদের সেখানে পাঠানো হবে। তবে তিস্তার পানি ঠেকাতে প্রশাসনকে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।

ডিডি/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।