পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু
পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থেকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এরপর শুক্রবার এবং শনিবার সকাল থেকে একাধিক জেলায় আকাশ কালো করে নামে ঝুমবৃষ্টি।
একে বর্ষা, তার সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপ। এই দুইয়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। এতে গত বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে অত্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন, তারা বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন>>
- দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি
- পশ্চিমবঙ্গের গাঠিয়া নদীতে হরপা বান, তিন শ্রমিককে উদ্ধার
- বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলো পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট
জানা যায়, বাঁকুড়ায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের, বর্ধমানে মারা গেছেন পাঁচজন। এছাড়া পুরুঝালদার গুরিডি এলাকা এবং কোতলপুর,জয়পুর ও ইন্দাস থানা এলাকায় একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সময় তারা মাঠে চাষের কাজ করছিলেন বলে জানা যায়।
এছাড়া ভাতার ব্লকের বুমসোর ও বলগোনা গ্ৰামে চারজন চাষের মাঠে কাজে ব্যস্ত থাকার সময় বজ্রপাতে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাদের চারজনকে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞানী সৌরিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল। নিম্নচাপের কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে এই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি হারাতে পারে।
ডিডি/কেএএ/