ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কয়েক ঘণ্টা না পেরোতেই যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে কম্বোডিয়া: থাইল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই দেশ যে সমঝোতায় পৌঁছেছিল, তা ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করেছে কম্বোডিয়া।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সোমাবার দিনগত রাত ১২টার পর গুলিবর্ষণ বন্ধ করলেও, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত কম্বোডিয়ার দিক থেকে একাধিক স্থানে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে কোনো সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়নি

যদিও সংঘর্ষের অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য ভিন্ন, তবু মঙ্গলবার স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষই নতুন করে গুলিবর্ষণ বন্ধ রাখতে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে থাকা মরদেহ সরিয়ে নিতে একে অপরকে অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।

দুই দেশের পাঁচদিন ধরে চলা গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সীমান্ত এলাকায় ভয়াবহ রকেট হামলা, গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা সংঘটিত হয়েছে- বিশেষ করে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থেকে।

কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় থাইল্যান্ডের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। পাল্টা হামলায় থাই বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ার অবস্থানে বোমা ফেলে। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বেড়ে যায়।

উত্তেজনার জেরে থাইল্যান্ড সীমান্তের কিছু ক্রসিং বন্ধ করে দেয়, কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ও নিজ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড থেকে ফল-মূল, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট আমদানি বন্ধ করে দেয়।

ওই পরিস্থিতির মধ্যেই দুই দেশের শীর্ষ নেতারা সোমবার মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসেন, যা মধ্যস্থতা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখেন তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুদ্ধ না থামে, তবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বৈঠকটিকে খুবই ইতিবাচক আখ্যা দিলেও থাইল্যান্ড প্রথমদিকে আলোচনা নিয়ে অনীহা দেখিয়েছিল।

চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশই তাদের সেনা পেছনে সরিয়ে নেবে ও সংঘর্ষ রোধে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে তদারকি চালানো হবে। তবে যুদ্ধবিরতির পরপরই সংঘর্ষের অভিযোগ উঠে যাওয়ায় তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিরোধ শুধু সামরিক নয়- এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে গভীরে বিস্তৃত। ফলে তা সমাধান করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন হবে।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ