ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ধর্ষণের দায়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতির কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫

ধর্ষণের দায়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্নাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কর্নাটকের বিশেষ আদালত। শনিবার বিকেলে এই বহিষ্কৃত জেডি (এস) নেতার সাজা ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত।

১৯৯৬ সালের জুন থেকে ১৯৯৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এইচডি দেবগৌড়া। এর আগে ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কর্ণাটকের ১৪তম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

এদিকে এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্না বিরুদ্ধে কর্নাটকের হাসান জেলায় একটি খামারবাড়িতে গৃহকর্মীকে আটকে রেখে বার বার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। সে সময়ের ছবি এবং ভিডিও তুলে রেখে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতির বিরুদ্ধে।

কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গত এপ্রিল মাসে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। সিটের জমা দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শুক্রবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক সন্তোষ গজানম ভাট।

শনিবার সাজা ঘোষণার আগে আদালতে প্রজ্বল দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। রাজনীতিতে তার দ্রুত উন্নতির কারণেই তার পেছনে এমন ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে যাতে তুলনামূলক কম কোনো শাস্তি দেওয়া হয়, সেই দাবি করেছেন রেভান্না।

শনিবার এজলাসে বিচারক সাজা ঘোষণার আগে প্রজ্বল বলেন, ওরা বলছে আমি একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনো নারীই স্বেচ্ছায় অভিযোগ করতে আসেননি। তারা নির্বাচনের (গত বছরের লোকসভা ভোটের) ছয়দিন আগে এই অভিযোগ নিয়ে হাজির হন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়েছে।

গত লোকসভা ভোটে হাসনে জেডি (এস)-এর প্রার্থী হয়েছিলেন রেভান্না। সেখানে ভোটের আগে রেভান্নার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই দেবগৌড়ার নাতিকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেডি (এস)। রেভান্না আদালতে বলেন, আমার একটি পরিবার আছে। ছয়মাস হয়ে গেল, মা-বাবার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আদালতের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাকে লঘু শাস্তি দিন। জীবনে আমার একমাত্র দোষ হলো, আমি রাজনীতিতে দ্রুত উন্নতি করছিলাম।

টিটিএন