যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক ধ্বংস হবে, পুতিনের হুঁশিয়ারি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন/ ছবি: এএফপি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহ করে তবে তা মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করবে।
রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে টমাহক মিসাইল দেয়, তবে এটি আমাদের সম্পর্কের ধ্বংস ডেকে আনবে — অন্তত সম্প্রতি যে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছিল, তাও মুছে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই অস্ত্র ব্যবহার মানেই হবে সংঘাতের এক নতুন, আরও বিপজ্জনক ধাপে প্রবেশ করা — যা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককেও নতুন উত্তেজনায় ঠেলে দেবে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গত মাসে ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘপাল্লার টমাহক মিসাইল সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে, যা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ গভীর অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টমাহক মজুতের সীমাবদ্ধতা ও নৌবাহিনীর অগ্রাধিকারের কারণে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে।
টমাহক ক্রুজ মিসাইলের পাল্লা প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার— অর্থাৎ ইউক্রেনের হাতে এ অস্ত্র এলে পুরো ইউরোপীয় অঞ্চলের দিকে থাকা রাশিয়ার ও ক্রেমলিন পর্যন্ত হামলার আওতায় চলে আসবে।
পুতিন দাবি করেছেন, টমাহক মিসাইল ব্যবহার সম্ভব নয় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া। সুতরাং, এই অস্ত্র সরবরাহ মানেই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এই মিসাইল প্রতিহত করতে সক্ষম এবং এটি আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ করে দেবে।
মাত্র দুই মাস আগে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের পর, অনেকেই আশা করেছিলেন শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি আসবে। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা, নাটো আকাশসীমায় রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশ এবং এখন টমাহক বিতর্ক — সব মিলিয়ে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক আবারও সংকটের মুখে।
ট্রাম্প সম্প্রতি পুতিনের সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়া কাগুজে বাঘ, কারণ তারা ইউক্রেনকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাল্টা জবাবে পুতিন প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি ন্যাটোই আসল কাগুজে বাঘ নয়, যারা রাশিয়াকে থামাতে পারেনি?
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম