যৌথ সামরিক মহড়া চালাতে যাচ্ছে চীন-মালয়েশিয়া
চীনের একটি যুদ্ধজাহাজা। ছবি: এএফপি (ফাইল)
চীন ও মালয়েশিয়া চলতি মাসে একটি যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করবে। মহড়াটির মূল লক্ষ্য হবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলদস্যু দমনসহ মানবিক সহায়তা প্রদান। এমন তথ্য জানিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই নিয়মিত মহড়াটি চীনের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের অংশ। যদিও দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকা নিয়ে এই অঞ্চলে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
চীনের জানজিয়াং, সানিয়া ও হংকংয়ের সামরিক বন্দর থেকে বুধবার মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বাহিনী রওনা হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই যৌথ মহড়া।
মোট এক হাজার জনের বেশি সামরিক সদস্য এতে অংশ নিচ্ছেন, যার মধ্যে চীনের পক্ষ থেকে ৭০০ জনের বেশি। এছাড়া যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার ও ড্রোনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহৃত হবে।
এটি চীন-মালয়েশিয়ার মধ্যে ষষ্ঠ যৌথ সামরিক মহড়া। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহড়াটি মানবিক সহায়তা, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেবে। এছাড়া, আসিয়ান জোটভুক্ত অন্যান্য দেশের পর্যবেক্ষকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এই মহড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে অ-প্রথাগত নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় যৌথ সামর্থ্য বাড়ানো এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে ২০২৩ সালে চীন পঞ্চমবারের মতো এই ধরনের মহড়ার আয়োজন করেছিল, যেখানে কাম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম অংশ নিয়েছিল।
চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে, যদিও ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামেরও ওই এলাকায় আংশিক দাবি রয়েছে।
মালয়েশিয়া আগামী মাসে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে, যেখানে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে একটি আচরণবিধি গঠনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সম্মেলনেরও আয়োজন করবে মালয়েশিয়া।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম