‘এটা বিপর্যয়ের চেয়েও বেশি’: সাহিত্যে নোবেল জেতার প্রতিক্রিয়ায় ক্রাসনাহোরকাই
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই/ ফাইল ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস
সাহিত্যে নোবেল জেতার ঘটনাকে ‘বিপর্যয়ের চেয়েও বেশি’ বলে মন্তব্য করলেন হাঙ্গেরীয় লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। সুইডেনের স্টকহোম থেকে যখন ফোনটা আসে, তখন ক্রাসনাহোরকাই কোনো বিলাসবহুল লেখার ঘরে ছিলেন না, বা সাংবাদিকদের ভিড়েও নয়। তিনি ছিলেন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক অসুস্থ বন্ধুর বাসায়। দিনটাও ছিল একেবারে সাদামাটা, কিন্তু সেটাই হঠাৎ হয়ে উঠলো অসাধারণ।
‘হ্যালো, আমি জানিয়ান, নোবেল প্রাইজ থেকে বলছি,’—ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো কণ্ঠ। ‘জি,’ শান্তভাবে উত্তর দেন ক্রাসনাহোরকাই। কয়েক মুহূর্ত পরই তাকে জানানো হয়—তিনি ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন>>
সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির লেখক লাসলো ক্রাসনাহরকাই
সাহিত্যে নোবেল/ কে এই লেখক লাসলো ক্রাসনাহরকাই
১৬তম মুসলিম হিসেবে নোবেল জিতলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ওমর
ট্রাম্প কি আসলেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতবেন, সম্ভাবনা কতটা?
শুনে তার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এটা তো বিপর্যয়ের চেয়েও বেশি,’—হাসতে হাসতে বলেন ক্রাসনাহোরকাই। এটি আসলে স্যামুয়েল বেকেটের বিখ্যাত উক্তির প্রতি একটি রসিক ইঙ্গিত; বেকেটও নিজের নোবেল জয়কে বলেছিলেন ‘একটি বিপর্যয়’।
ক্রাসনাহোরকাই ব্যাখ্যা করেন, বেকেট বলেছিলেন ‘কী বিপর্যয়!’ আমি তাই বললাম, ‘বিপর্যয়ের চেয়েও বেশি’। কিন্তু আসলে এটি আনন্দ ও গৌরবের ব্যাপার। আমি খুবই খুশি এবং গর্বিত যে আমি এত মহান লেখক ও কবিদের সারিতে জায়গা পেয়েছি।
তিনি পাঠকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি পাঠকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি চাই সবাই যেন নিজেদের কল্পনাশক্তি ফিরে পায়। কল্পনাশক্তি ছাড়া জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বই পড়া ও উপভোগ করা আমাদের ধনী করে তোলে, এবং পৃথিবীর এই কঠিন সময় টিকে থাকার শক্তি দেয়।
পুরস্কারের খবর শুনে ক্রাসনাহোরকাই প্রথমে হতবাক হয়ে যান। ‘আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি—আমি নোবেলজয়ী লেখক! সম্পূর্ণ বিস্মিত হয়েছিলাম,’ বলেন তিনি।
হাঙ্গেরীয় এই লেখক জানান, পুরস্কার পেলেও তার জীবনযাত্রায় তেমন পরিবর্তন আসবে না। ‘আমি বুদার একটি পাহাড়ের চূড়ায় থাকি, কখনো ট্রায়েস্টে, কখনো ভিয়েনায়। এটাই আমার জীবন।’
সূত্র: নোবেল প্রাইজ
কেএএ/