ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আশ্রয়প্রার্থী নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

আশ্রয়প্রার্থী নীতিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যাক্তরাজ্য। দেশটি বলছে, এ সংস্কারে তারা অনুপ্রেরণা নিচ্ছে ডেনমার্কের মডেল থেকে—যা ইউরোপের অন্যতম কঠোর আশ্রয়নীতি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দ্বারা ব্যাপক সমালোচিত।

ব্রিটেনের লেবার সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করছে, বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে ছোট নৌকায় অবৈধভাবে পারাপার ঠেকাতে। কারণ এ ইস্যুতে জনসমর্থন বাড়ছে পপুলিস্ট রিফর্ম ইউকে দলের, যা লেবারকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য করছে।

হোম অফিসের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নীতির পরিবর্তনের অংশ হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট আশ্রয়প্রার্থীকে দেওয়া আইনগত সহায়তার বাধ্যবাধকতা—যেমন বাসস্থান ও সাপ্তাহিক ভাতা—বাতিল করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শাবানা মাহমুদ এর নেতৃত্বাধীন দপ্তর জানায়, এই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে—যারা কাজ করতে সক্ষম হলেও কাজ করেন না এবং যারা আইন ভঙ্গ করেন তাদের ক্ষেত্রে।

সরকার বলছে করদাতাদের অর্থ বরাদ্দ করা হবে যারা অর্থনীতি ও স্থানীয় সমাজে অবদান রাখেন, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে।

মাহমুদ আগামী সোমবার এই নীতির বিস্তারিত প্রকাশ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হোম অফিস বলছে, এসব পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো ব্রিটেনকে অবৈধ অভিবাসীদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তোলা এবং তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো সহজ করা।

মাহমুদ বলেন, এই দেশ বিপদগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার গর্বিত ঐতিহ্য বহন করে। কিন্তু আমাদের উদারতা এখন অবৈধ অভিবাসীদের চ্যানেল পাড়ি দিতে উৎসাহিত করছে। বিপুল সংখ্যায় আসা অভিবাসীরা আমাদের সমাজে বড় ধরনের চাপ ফেলছে।

এদিকে ১০০টিরও বেশি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা মাহমুদের কাছে চিঠি লিখে অভিবাসীদের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, এমন কঠোর নীতিগুলো বর্ণবাদ ও সহিংসতা উসকে দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের কাছে এখন অভিবাসন—অর্থনীতির চেয়েও বড় উদ্বেগের বিষয়।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম