ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। দক্ষিণ লেবাননে টহলরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউএনআইএফআইএল-এর ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। বছরখানেক আগে হুথি ও ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, সেই সমঝোতার নিয়মিত লঙ্ঘনের সর্বশেষ ঘটনা এটি। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে ইউএনআইএফআইএল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের ভেতরে একটি ইসরায়েলি অবস্থানে থাকা মার্কাভা ট্যাংক থেকে শান্তিরক্ষীদের ওপর ভারী মেশিনগানের গুলি ছোড়া হয়। গুলিগুলো তাদের অবস্থান থেকে প্রায় পাঁচ মিটার দূরে পড়ে। পরে ট্যাংকটি পেছনে সরে গেলে শান্তিরক্ষীরা প্রায় আধাঘণ্টা পর নিরাপদে সরে যেতে সক্ষম হন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, খারাপ আবহাওয়া ও দুর্বল দৃশ্যমানতার কারণে সেনারা ইউএনআইএফআইএল-এর টহল দলকে ‘সন্দেহভাজন’ মনে করেছিলেন।

আরও পড়ুন>>
যুদ্ধবিরতি ভেঙে লেবাননে ১১৪ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
লেবাননে হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা
যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি হামলা: লেবাননের মতোই হবে গাজার পরিণতি?

লেবাননের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব অব্যাহত হামলা ও লঙ্ঘন বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তারা বলেছে, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে লঙ্ঘন বন্ধে কাজ চলছে।

এর আগেও শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার অভিযোগ উঠেছে। সেপ্টেম্বরে ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছিল, ইসরায়েলি ড্রোন তাদের ওপর চারটি গ্রেনেড ফেলে, যার একটি শান্তিরক্ষীদের গাড়ি ও কর্মীদের মাত্র ২০ মিটার দূরে পড়ে।

ইউএনআইএফআইএল বলেছে, সাম্প্রতিক এই গুলিবর্ষণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১৭০১-এর গুরুতর লঙ্ঘন। এ প্রস্তাবেই ২০০৬ সালের লড়াই বন্ধ হয় এবং ২০২৪ সালের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।

বিবৃতিতে তারা আবারও ইসরায়েলি বাহিনীকে শান্তিরক্ষীদের ওপর বা তাদের নিকটবর্তী এলাকায় আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির পর থেকেই লেবাননের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ইউএনআইএফআইএল। কিন্তু এর মধ্যেও ইসরায়েল লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। বাস্তুচ্যুত হন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। লেবাননের অন্তত পাঁচটি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনারা এখনো অবস্থান করছে, যদিও চুক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/