মিয়ানমারে চায়ের দোকানে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ১৮
শুক্রবারের হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া একটি বাড়ি ঘুরে দেখছেন লোকজন/ছবি: এএফপি
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের তাবাইন শহরে দেশটির সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরটির ব্যস্ততম একটি চায়ের দোকানে এ বিমান হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার সময় ওই দোকানটিতে বসে সেখানকার বাসিন্দারা টেলিভিশনে বক্সিং খেলা দেখছিলেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
ঘটনাস্থলের উদ্ধারকর্মীরা জানান, হামলায় ঘটনাস্থলেই ৭ জন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর ১১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বোমা হামলায় আশপাশের ডজনখানেক বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানান, জনাকীর্ণ ওই চায়ের দোকান লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে ১৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। দোকানটিতে সন্ধ্যা সময় লোকজনের ভিড় থাকায় হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে, বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে।
হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, হঠাৎ কানে আসে যুদ্ধবিমান ওড়ার শব্দ। এতটাই বিকট ছিল সেই শব্দ কান ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। আমি তখনই মাটিতে শুয়ে পড়ি। উপরে তাকিয়ে দেখি, আগুনের বিশাল কুণ্ডলী। ভাগ্য সহায় হওয়ায় আমি বেঁচে ফিরতে পেরেছি।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা বাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। অভ্যুত্থানবিরোধীদের ওপর মাঝেমধ্যেই জান্তা সরকারের হামলার খবর পাওয়া যায়। এসব হামলায় বহু বেসামরিক মানুষেরও প্রাণহানি হচ্ছে। চলতি বছরের মে মাসে জান্তার বিমান হামলায় ২০ শিশুসহ ২২ জন মারা যান।
এমকেআর