মুখোমুখি চীন ও জাপানের যুদ্ধবিমান, ‘রাডার লক’ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
মুখোমুখি চীন ও জাপানের যুদ্ধবিমান/ ছবি : আনাদোলু এজেন্সি
জাপানের ওকিনাওয়া মূল দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে দেশটির যুদ্ধবিমানগুলোর দিকে ‘রাডার লক’ করেছে চীনা সামরিক বিমান। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির পাশাপাশি তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) চীনের জে-১৫ যুদ্ধবিমান দুবার জাপানি যুদ্ধবিমান এফ-১৫ জেটের দিকে ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার নির্দেশ করে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ‘রাডার লক’ মূলত একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে কোনো রাডার সিস্টেম নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যবস্তুকে (যেমন বিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি) নির্দিষ্ট করে সেটার গতি, দিক ও অবস্থান নিরবচ্ছিন্নভাবে অনুসরণ করতে থাকে। এ সিস্টেমকে যে-কোনো সম্ভাব্য হামলার পূর্বসংকেত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নৌবাহিনীর মুখপাত্র ওয়াং সুয়েমেং দাবি করেছেন, লিয়াওনিং বহর মিয়াকো প্রণালির পূর্বদিকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছিল। এ সময় জাপানের সামরিক বিমানগুলো পিএলএ’র প্রশিক্ষণ এলাকার খুব কাছে এসে চীনা ফাইটার জেটগুলোকে হয়রানি করেছে এবং চীনের স্বাভাবিক মহড়ায় গুরুতর বিঘ্ন ঘটিয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি মন্তব্য করেছিলেন যে তাইওয়ানে চীন হামলা করলে তা জাপানের জন্য অস্তিত্ব হানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এবং টোকিও তখন সমষ্টিগত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তার এই মন্তব্যে বেইজিং–টোকিও উত্তেজনা বেড়ে যায়।
চীন ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে চীনা নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল। এছাড়া জাপান থেকে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি স্থগিত করে এবং জাপান–দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নির্ধারিত ত্রিপক্ষীয় মন্ত্রীদের বৈঠকও স্থগিত করে।
সূত্র : এএফপি/আনাদোলু এজেন্সি
কেএম