ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মরক্কোয় আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু, আরও বৃষ্টির শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলীয় প্রদেশ সাফিতে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসএনআরটি নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার হঠাৎ ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় আহত অন্তত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, কাদামাখা পানির স্রোতে সাফি শহরের রাস্তায় থাকা গাড়ি ও আবর্জনার বিন ভেসে যাচ্ছে। রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরে মাত্র এক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতেই পুরোনো ঐতিহাসিক এলাকায় অন্তত ৭০টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>>
সৌদিজুড়ে ঝড়-বৃষ্টি, বন্যার সতর্কবার্তা
শ্রীলঙ্কায় বন্যার মধ্যেই বিপদ বাড়াচ্ছে বৃষ্টি, নতুন করে ভূমিধসের শঙ্কা
এশিয়ায় এবারের বন্যা এত ভয়ংকর হয়ে উঠলো কেন, কীসের ইঙ্গিত?

এক বিবৃতিতে সাফি গভর্নরেট জানিয়েছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বন্যার ফলে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আটলান্টিক উপকূলীয় এই বন্দরনগরীর সঙ্গে যোগাযোগকারী একাধিক সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

কাসাব্লাঙ্কাভিত্তিক পত্রিকা ‘লে মাতাঁ’ জানিয়েছে, সাফি থেকে উত্তর-পূর্বে অবস্থিত হরারা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী প্রাদেশিক সড়ক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সাফির প্রাদেশিক শিক্ষা অধিদপ্তর সোমবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

রোববার সন্ধ্যার মধ্যেই বন্যার পানি নেমে যেতে শুরু করে। এরপর কাদায় ভেজা এলাকা থেকে মানুষজন নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উদ্ধার করতে দেখা যায়। সম্ভাব্য আরও হতাহতের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবার দেশজুড়ে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

টানা সাত বছরের খরার পর মরক্কো বর্তমানে ভারী বৃষ্টি ও আটলাস পর্বতমালায় তুষারপাতের মুখে পড়েছে। এর ফলে দেশটির প্রধান জলাধারগুলোর অনেকটাই আগে শুকিয়ে গিয়েছিল।

মরক্কোর সাধারণ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২৪ সাল ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর।

এর আগে ২০২১ সালে মরক্কোয় ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যা দেখা দিলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও প্রবল বর্ষণে দেশটিতে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/