ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে মোদীর সভার আগে ‘গো ব্যাক’ পোস্টার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তাহেরপুরে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে কারণে শনিবার সকাল থেকে সভাস্থলে জমা হতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার আগেই পুরো তাহেরপুর অঞ্চল ‘গো ব্যাক’ পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এমনকি নরেন্দ্র মোদী যে রাস্তা দিয়ে সভাস্থলে যাবেন সে রাস্তায়ও লাগানো হয়েছে মোদী বিরোধী পোষ্টার। এছাড়া ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পোস্টারে লেখা হয়েছে ‌‘নাগরিকত্ব হরণের সভা’।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ভোটার তালিকা থেকে অসংখ্য পরিবারের নাম বাদ গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সেই বার্তা দিতেই এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই পোস্টারগুলো খুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

নদীয়া জেলার বিজেপির কর্মী জয়দেব ভদ্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের সব স্থানে যাবেন। সেখানে গোব্যাক স্লোগান কেন? এটা পাকিস্তান নয়, এটা বাংলাদেশ নয়, এটা ভারতবর্ষ, আগামী দিনে এর ভয়ংকর জবাব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সভা ঘিরে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে উত্তেজনার ছবি ধরা পড়েছে। সভাস্থলে পৌঁছানোর জন্য বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকদের বিভিন্ন ঘুরপথ দিয়ে সভাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরের কয়েক ঘন্টা আগেই রাজনৈতিক সুর চাড়ালো তৃণমূল কংগ্রেস। মোদীর জনসভার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শোনালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, ভোট এলেই প্রধানমন্ত্রী বাংলায় যাতায়াত শুরু করেন, আর এই সফর আসলে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ ছাড়া কিছুই হয় না।

কুনাল ঘোষ আরও বলেন, ২০২১ ও ২০২৪ সালের ভোটের আগেও বাংলাকে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে রাজ্য তার প্রাপ্য অর্থ পায়নি।

কুনাল ঘোষের দাবি, কেন্দ্র এখনও বাংলার প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে। কেন্দ্র টাকা আটকে রাখলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাজী রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে কুনাল বলেন, টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ পড়তে আসবেন মোদী। কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য কোনো বাস্তব বার্তা নেই। বাংলা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার, এটাই বিজেপির রাজনীতি।

তবে এদিনের সভার দিকে সবারই নজর থাকবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে কোনো বার্তা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডিডি/টিটিএন