ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘কুমিরঘেরা’ কারাগার বানানোর প্রস্তাব ইসরায়েলি মন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘কুমিরঘেরা’ কারাগার বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির। তার এই মন্তব্য ফিলিস্তিনি বন্দিদের প্রতি ইসরায়েল যে নির্মম আচরণ করে, তার শক্ত একটি প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১৩ রোববার (২১ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বেন গভির ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষের প্রধান কোবি ইয়াকোবির সঙ্গে বৈঠক করার সময় এমন ‘হিংস্র’ প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দিরা যেন পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য যেন কুমিরে ঘেরা কারাগার তৈরি করা হয়।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বৈঠকে উপস্থিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তা বেন গভিরের এই প্রস্তাব নিয়ে হাসাহাসি করলেও; এমন কারাগার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ।

যদি তার এই প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহলে কারাগারটি তৈরি করা হবে সিরিয়ার দখলকৃত গোলান উপত্যকার কাছের হামাত গাদেরে অঞ্চলে। এই অঞ্চলটি আবার জর্ডান সীমান্তেরও কাছে।

জানা গেছে, হামাত গাদেরে শহরে ওই এলাকায় একটি কুমির খামার ও একটি চিড়িয়াখানা আছে। বেন গভিরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ওই চিড়িয়াখানার কুমির এনে কারাগারের চারপাশে রাখা হবে, যেখানে ফিলিস্তিনি বন্দিদের আটকে রাখা হবে।

এমন প্রস্তাব এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট শিগগিরই বেন গভিরের প্রস্তাবিত একটি বিলের ওপর ভোট দিতে যাচ্ছে। ওই বিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা বা হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রাখা হয়েছে।

নেসেটের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী পরিষদ প্লেনাম গত ১১ নভেম্বর বিলটি প্রথম পাঠে অনুমোদন দেয়। আইন হিসেবে কার্যকর হতে হলে বিলটিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাঠে অনুমোদন পেতে হবে।

বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে ৯ হাজার ৩০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও আছে। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বন্দির ওপর নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলের নির্যাতন আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ভয়াবহ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ৯০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ২০০ জন। এই হামলায় গাজা উপত্যকা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

এসএএইচ