ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শারদীয়ার আগে ভারতে ৫৬০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠালো বাংলাদেশ

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

বরাবরই কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে বাংলাদেশের রুপালি ইলিশের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। প্রতি বছরই বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ নিতে মুখিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গের মাছে-ভাতে বাঙালি। এই দুর্গাপূজার সময়ও ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে।

গত কয়েক বছর ধরেই ঠিক শারদীয়া উৎসবের আগে বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানি হয়েছে কলকাতায়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিল যে, চলতি বছর শারদীয়া উৎসবের আগে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সোনা পাচারকালে আটক ৪

কিন্তু কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে এখন পর্যন্ত ৫৬০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বরের পর আমরা ইলিশ পাচ্ছি কি না সেটাই দেখার বিষয়।

jagonews24.com

এ বিষয় নিয়ে তারা বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় মাছের পাইকারি বাজার হাওড়া ফিস মার্কেট। এই পাইকারি বাজারে ১৫০০ থেকে ১৭০০ রুপিতে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

কিন্তু খুচরা বাজারে সেই একই মাছ ১৮০০ থেকে ২ হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আবার ইলিশের দাম ২২০০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে। ফলে পূজার আগে মাছের দাম একটু বেশি থাকায় বিক্রি কম হচ্ছে।

কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল আগরপাড়ার উশুমপুরের খুচরা মাছ বিক্রেতা লক্ষ্ণণ পাল জানিয়েছেন, আমাদের বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা যথেষ্ট আছে। কিন্তু দাম একটু বেশি থাকায় সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ এত দাম দিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ কিনছে কম। তবে আমাদের আশা পূজার সময় ইলিশের দাম একটু কমলে সাধারণ মানুষ আবার ইলিশ কিনবে।

jagonews24.com

আরও এক খুচরা মাছ বিক্রেতা হরি বর্মন বলেন, বেশি দাম দিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ কিনে বরফ দিয়ে রাখতে হচ্ছে। ফলে লাভের চেয়ে লোকসানই হচ্ছে বেশি। যে দামে ইলিশ পাইকারি কিনতে হচ্ছে সেই দামও আমরা ঠিকভাবে তুলতে পারছি না। ইলিশের দাম না কমলে আর পাইকারিতে ইলিশ কিনব না।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় ১৮ লাখ টাকার সোনা জব্দ

তবে ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদের মতে, ইলিশ আরো আসতে থাকলে মাছের দাম অনেকটাই কমে যেত। কিন্তু ওয়াকিবহাল বিভিন্ন মহল বলছে, শর্তের কথা বিবেচনায় রেখে আমদানি করে বাজারে ঢালাও সরবরাহ এবং সংরক্ষণ করা হলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

ডিডি/টিটিএন