দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে চীনের এআই, কী করবেন ট্রাম্প?
ফাইল ছবি
রোমাঞ্চকর এই নতুন যুগে যুক্তরাষ্ট্রের সফলতার ক্ষেত্রে যদি কোনো প্রযুক্তি অবদান রাখতে পারে সেটা হতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আগামী দশকের উৎপাদনখাতে সফলতা দেখাতে পারে এই প্রযুক্তি। যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। পাশাপাাশি শিল্প বিপ্লবের মতোই পরিবর্তনের মাধ্যমে মানবজাতিকে শক্তিশালী করবে।
এআই খাতে চীনের অগ্রগতি চমকপ্রদ কারণ এত দিন তারা এ বিষয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে চীনের উন্নতি থামিয়ে দিতে কাজ করেছে। জো বাইডেন প্রশাসন আশঙ্কা করেছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চীনের সেনাবাহিনীকে সর্বচ্চো পর্যায়ে নিয়ে যাবে। তাই বাইডেন চীনে চিপ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি ও অনেক যন্ত্রে প্রবেশে বন্ধ করে দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে লেগে ছিল চীন।
এআই প্রযুক্তিতে চীনের সাম্প্রতিক উন্নতি পুরো শিল্পকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ও মার্কিন নীতি নির্ধারকদের বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলেছে। চীনা মডেলের উন্নতিতে এই শিল্পে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। যা এআই অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে যেখানে চীনের এআই তাদের ঘারের ওপর নিশ্বাস নিচ্ছে।
আরও পড়ুন>
- ডিপসিক কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এআই অ্যাপ হয়ে উঠলো?
- চীনের ডিপসিকের বাজিমাত, মার্কিন প্রযুক্তিখাতের শেয়ারে ধস
চীনের এলএলএম যে সবচেয়ে ভালো তা নয়। কিন্তু এটি সস্তা। গত বছরের নভেম্বরে ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা কিউডব্লিউকিউ বাজারে আনে। বেঞ্চমার্কের দিক থেকে সপ্তম অবস্থানে আছে বর্তমান সময়ের আলোচিত চীনা এআই ডিপসিক। অনেক ভালো কোম্পানিকে এরই মধ্যে পেছনে ফেলেছে এটি। এই অ্যাপটি তৈরি করতে ছয় মিলিয়ন ডলারের কম খরচ হয়েছে।
যদি ভাল ও পর্যাপ্ত এআই মডেলগুলোকে অপেক্ষাকৃত সস্তায় ট্রেইন্ড করা যায়, তাহলে এগুলো আরও প্রসারিত হবে।
এমন পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কী করা উচিত। তার প্রথম অবকাঠামো প্রকল্পের ঘোষণা একটি ভালো পদক্ষেপ। আমেরিকাকে অবশ্যই ডেটা সেন্টার তৈরির আইনি বাধা দূর করতে হবে। বিদেশি প্রকৌশলীদের নিয়োগের বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া এআই এর দ্রুত গ্রহণকে উৎসাহিত করতে প্রতিরক্ষা সংগ্রহের সংস্কার উচিত।
অনেকেই যুক্তি দিয়ে বলেন ট্রাম্পের উচিত চিপ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। কারণ বাইডেন প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় চীনের অগ্রগতিতে থামিয়ে রাখা যায় নি। তবে তার মানে এই নয় যে এর মধ্যমে কিছুই অর্জিত হয়নি।
সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো পারমাণবিক অস্ত্রের মতোই মারাত্মক হতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যুক্তরাষ্ট্র তাদের শত্রুদের কাছে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের উপাদান দেবে না। তাই চীন যদি ভালো মানের চীপ পেয়ে যায় তাহলে দেশটির এআইখাত আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
এমএসএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রের চাপ তোয়াক্কা না করেই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের একাধিক চুক্তি
- ২ চীনের নির্যাতন থেকে বাচঁতে ভারতে ৩ ভাই, জেল খাটছে ১২ বছর
- ৩ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান মোদীর
- ৪ আফ্রিকার উপকূলে খাদ্য সংকট, ৬০ হাজার পেঙ্গুইনের মৃত্যু
- ৫ যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেট ঘোষণা