ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

অ্যাটর্নি জেনারেল

বিশ্বে স্বৈরাচারদের সমিতি হলে সভাপতি হবেন শেখ হাসিনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫

বিশ্বে স্বৈরাচারদের সমিতি হলে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতি হতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, মিথ্যা কথার জন্য পিএইচডি করতে হলে হিটলারও শেখ হাসিনার কাছে আসতেন। তবে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে এসেছি। আমরা ন্যায়বিচার চাই।

রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের রাষ্ট্র অনেক এগিয়েছে। আগের ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। আমাদের সামনে যে জুলাই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার সঠিক বিচার চাই। তবে আমরা অমানবিক বিচার চাই না। এ সময় তিনি ইংল্যান্ডের অলিভার ক্রমওয়েলের বর্ণনা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য আমরা এখানে এসেছি। এমন একটি বিচার সম্পন্ন হোক, যেন তা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে। কেননা ইতিহাসে অনেক ফ্যাসিস্টের জন্ম হয়েছে। তবে বহু স্বৈরশাসকও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের মধ্যেই একজন অলিভার ক্রমওয়েল। যার মৃত্যুর তিন বছর পর মরদেহ তুলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এরপর শিরশ্ছেদ করা হয়। তার মাথা লোহার দণ্ডে গেঁথে বহু বছর ওই শহরে প্রদর্শন করা হয়েছে। তবে আমরা তেমন কিছু চাই না।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে খুন, চাঁদাবাজি, রাতে ভোট করা, বিদেশে টাকা পাচারসহ সব ধরনের অনিয়ম করা হতো। এসবের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন হয়। টানা ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনের মুখে হাসিনাসহ এমপি-মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, মিথ্যা কথার জন্য পিএইচডি করতে হলে হিটলারও শেখ হাসিনার কাছে আসতেন। তবে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে এসেছি। আমরা ন্যায়বিচার চাই, দেশের মানুষের স্বপ্নের বিচার চাই। আমরা ন্যায়বিচার চাইবো। ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়েই আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাইবো। যুগ সন্ধিক্ষণে ন্যায়বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছি। শুধু রাষ্ট্রপক্ষ নয়, সবাই ন্যায়বিচার পাবে।

এদিন বেলা সোয়া ১১টায় ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের পর প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস