ডিজিটাল হলো আদালত, ভার্চুয়ালিও করা যাবে শুনানি
প্রতীকী ছবি
জঙ্গি, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এবং রাজনৈতিক আসামিসহ বড় ধরনের অভিযোগের মামলার আসামিদের নিরাপত্তার স্বার্থে কারাগারে রেখেই ভার্চুয়ালি শুনানি করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেজন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২৮ নম্বর কক্ষটিকে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
পরে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে আর জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ঝুঁকিপূর্ণ আসামিদের সশরীরে আদালতে আনতে হবে না। তাদের কারাগারে রেখেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত করে মামলার শুনানি হবে। এতে সরকারের সময় ও অর্থ দুটিই বাঁচবে। পাশাপাশি ঝুঁকিও কমবে। অতি শিগগির এই পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু হবে।
আদেশে বলা হয়, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির বিভিন্ন আদালতসমূহে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলাসহ জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় প্রতিদিন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি জেলখানা ও কোরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জেলখানা থেকে প্রচুর সংখ্যক আসামিকে বিভিন্ন বাহনে করে আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়। এসব আসামিদের মধ্যে জঙ্গিসহ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অনেক আসামি রয়েছে।
এই আসামিদের আদালতে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়শই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেয়। এছাড়া এই আসামিদের অনেকের প্রতি জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ থাকায় আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘাটানোর চেষ্টা করে।
এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। এই পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে উচ্চ আদালতের প্রজ্ঞাপনে অডিও, ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি সংক্রান্ত প্র্যাকটিস নির্দেশনা রয়েছে।
এজন্য বিচারকাজকে এগিয়ে নিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির ২৮ নম্বর আদালতের এজলাস কক্ষটি ডিজিটাল কোর্ট রুম হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এমআইএন/এমকেআর/এমএস