ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় নবম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে নবম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এর আগে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এদিন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের ষষ্ঠ সাক্ষী সিয়াম আহসান আয়ানকে জেরা করেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) ও অন্যান্য আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। ট্রাইব্যুনালে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম ও আবদুস সোবহান তরফদার।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করেন সিয়াম আহসান আয়ান। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনিই আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিতে প্রথম এগিয়ে আসেন বলে তুলে ধরেন তিনি।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনের মতো একজনের সাক্ষ্য শেষ করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষীর জবানবন্দি দেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম। তাকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডাক্তার তার জবানবন্দি পেশ করেন। ওই দিনই দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হককেও জেরা করা হয়।

২৮ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। একই দিন সাংবাদিক মঈনুল হকের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

এরও আগে ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।

২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম