ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ট্রাইব্যুনালে ময়মনসিংহের ২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৬:১০ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রিয়াজ উদ্দিন ফকির (৬৫) ও মো. ওয়াজ উদ্দিনের (৭০) তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে মূল ৫৭ পৃষ্ঠার সঙ্গে তিনশ পৃষ্ঠার পাঁচটি ভলিউমে তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত শেষ করেন। এই মামলায় মোট ৬০ জনকে সাক্ষী মনোনীত করা হয়েছে।  

তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেয়া হবে বলে জানান আবদুল হান্নান খান। তারা দু`জনই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির পরে দু`জনকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আটক দু`জনের একজন মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি মো. ওয়াজ উদ্দিন পলাতক। এছাড়া মো. আমজাত আলী (৮৮) দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।

তিনজনের মধ্যে দু`জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ হলো,

১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন কালাইরপাড়, চকলাইড়িপাড়া গ্রাম ও ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের শহীদ শহীদুল্লাহ মাস্টার, শহীদ আব্দুল মজিদ ও শহীদ জমশেদ আলীকে অপহরণ করে আটক রাখার পর নির্যাতন করে ২৫ আগস্ট গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন বিদ্যান্দন ও বেতবড়ী  গ্রামের স্বর্গীয় সুরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, শহীদ হাবিবুর রহমান তালুকদার ও শহীদ জয়গুন নেছারসহ মোট তিনজনকে অপহরণের পর ধর্ষণও গুলি করে হত্যা।

তৃতীয় অভিযোগ হলো, ১৯৭১ সালের ৫ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন ঋষিপাড়ার স্বর্গীয় মন্দ্রির ঋষিসহ আটজন হিন্দুকে অপহরণ করে হত্যা করেন। ঋষিপাড়ার তিনজন হিন্দু নারীকে ধর্ষণও করা হয়।

চতুর্থ অভিযোগ হলো, ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন বেতবাড়ি, ভবাণীপুর, সোয়াইতপুর, এনায়েতপুর, বাঁশদি ও হোরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার শহীদ ইসমাঈল হোসেন মাস্টারসহ ৪৩ জনকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়।

পঞ্চম অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন ভালুহজান গ্রামের একই পরিবারের তিন সহোদর, শহীদ আলতাফ আলী মন্ডল, শহীদ তালেব আলী মন্ডল, শহীদ সেকান্দার আলী মন্ডলকে অপহরণের পর নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

এফএইচ/এমজেড/আরআইপি