ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ড. তাহের হত্যা: ২ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের রিভিউ শুনানি শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আজকের শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির সইয়ের পর ৬৮ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশঙ্কা থেকে তাকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

আরও পড়ুন>> রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা: সহযোগী অধ্যাপকের মৃত্যুদণ্ড আপিলে বহাল

শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরপর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো।

রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘণ্যতম হত্যাকাণ্ড। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘণ্য অপরাধীদের ছাড় নেই।

আরও পড়ুন>> রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর দুইদিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এফএইচ/এএএইচ