জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ স্থগিতের শুনানি আজ
রাজধানীর শাজাহানপুরে পরিত্যক্ত পাইপে পড়া শিশু জিহাদকে উদ্ধার তৎপরতার অবহেলার কারণে মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি আজ (মঙ্গলবার)। গত রোববার এই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ঠিক করা হয় বলে জানান আইনজীবীরা।
ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পরে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক।
এর আগে জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দেয়ার আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে (অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড) রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মামতাজ উদ্দিন ফকির। রোববার আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার ও অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হরিদাস পাল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জারি করা রুল নিস্পত্তি করে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই রায় দেন। তবে জিহাদের পরিবারকে কত টাকা ক্ষতিরপূরণ, আর ক্ষতিপূরণ কে দেবে তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
এর আগে এ বিষয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই বেঞ্চ। একইসঙ্গে শিশু জিহাদের মৃত্যুতে ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা রেলওয়ে ও সিটি কর্পোরেশনের অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সারাদেশে কতোগুলো অরক্ষিত পাইপ, ঢাকনাবিহীন পাইপের গর্ত ম্যানহোল ও পয়ঃনিস্কাশন পাইপ রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চান আদালত।
রায়ের পর ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেন, আদালত রুল মঞ্জুর করেছেন। এ রায়ের মাধ্যমে বুঝা গেলো জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় সরকারি কর্তৃপক্ষই দায়ী।
ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে কারা দায়ী থাকবেন বা কী ধরণের ক্ষতিপূরণ দিতে এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন দেবেন আদালত। ১৯৮৩ সালে ভারতে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি চালু হয়। কিন্তু বাংলাদেশে ৪৫ বছরের মধ্যে এটাই প্রথম।
জিহাদের পিতা ও মাতা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পরে জিহাদের বাবা বলেন, আদালতের রায় মানতে বাধ্য। আমি শুধু সরকার ও পুলিশের কাছে আমার আবেদন-কেউ যেন আমাকে হুমকি ধামকি না দেয়। কারণ আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। অপরীচিতরা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দেয় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।
২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
এফএইচ/আরএস/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ সেই মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন কবির
- ২ শ্যামবাজারে ব্যবসায়ীকে হত্যা: রিমান্ড শেষে নয়ন কারাগারে
- ৩ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে
- ৪ ‘হাসিনা-কামালের আমৃত্যু যথেষ্ট নয়, মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি’
- ৫ সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা